ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১, ০৪ মার্চ ২০২৫, ০৩ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

বেঁধে দেওয়া দামে মাংস-ডিম বিক্রি করছেন না চাঁদপুরের বেশিরভাগ ব্যবসায়ী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০২ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২৫
বেঁধে দেওয়া দামে মাংস-ডিম বিক্রি করছেন না চাঁদপুরের বেশিরভাগ ব্যবসায়ী

চাঁদপুর: পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে চাঁদপুরে গরু, খাসি, মুরগির মাংস ও ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। কিন্তু বাজার ঘুরে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রি করতে দেখা গেছে অধিকাংশ ব্যবসায়ীকে।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) শহরের বিপণিবাগ ও নতুন বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে বাজার দর।

এর আগে রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে ব্যবসায়ীদের নিয়ে প্রশাসনের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে সবার সম্মতিতে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৮০, খাসির মাংস ১১০০, ব্রয়লার মুরগি ১৮০, সোনালি মুরগি ২৭০ টাকা ও ডিম প্রতি পিস সাড়ে নয় টাকা নির্ধারণ করা।

কিন্তু দাম নির্ধারণের পরদিন সোমবার আগেই বেশি দামেই পণ্য বিক্রি করছেন অনেক ব্যবসায়ী।

সোমবার শহরের বিপণিবাগ বাজারে আনোয়ার হোসেন আনুর মাংসের দোকানে গরুর মাংস ৭০০ টাকায় আর খাসির মাংস ১১০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।  

বেশি দাম রাখার কারণ জানতে চাইলে দোকানের মালিক আনু বলেন, আমরা ৬৮০ টাকায় বিক্রি করব। মূল্যতালিকা আজই পরিবর্তন করা হবে।  

একই বাজারের দ্বীন ইসলামের ব্রয়লার হাউজে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৯০ টাকায়, সোনালি প্রতি কেজি  ২৮০ টাকা বিক্রি করতে দেখা গেছে।  

একই দামে বিক্রি হচ্ছে রাসেল খান ব্রয়লার হাউজেও।  

রাসেল খান বলেন, দাম নির্ধাণের আগে মুরগির পরিবেশকদের সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন ছিল। প্রশাসন থেকে দাম নির্ধারণ করা হলেও আমরা ওই দামে বিক্রি করতে পারছি না।

একই বাজারে আবদুর রহমান, তারেক ও নুরু স্টোরে প্রতি কুড়ি ডিম বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকায়। যা প্রতি কুড়ি ডিমের নির্ধারিত মূল্য থেকে ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি।

শহরের নতুন বাজারের পাশাপাশি দুটি ব্রয়লার মুরগির দোকানের মধ্যে কালুর ব্রয়লার হাউজে ব্রয়লার প্রতি কেজি ১৯০ টাকায় আর সোনালি নির্ধারিত দামে (২৬০) বিক্রি হয়েছে। কিন্তু পাশের আল-আমিন ব্রয়লার হাউজে প্রতি কেজি ব্রয়লার ২০০ টাকা আর সোনালি প্রতি কেজি ৩০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছিল।

ব্যবসায়ী কালু জানালেন, কেনার ওপর নির্ভর করে বিক্রি করা হচ্ছে।  

আর আল-আমিন বলেন, বেশি দামে কিনতে হয়েছে, তাই বিক্রিও হচ্ছে বেশি দামে। এখনো প্রশাসনের কোনো নির্দেশনা পাইনি।

এ বাজারের মাংস ব্যবসায়ী সেলিমের দোকানে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হতে দেখা গেছে ৭৫০ টাকায়। তারা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা পাননি বলে দাবি করেছেন। নির্দেশনা পেলে সে অনুযায়ী দাম রাখা হবে।

চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাখাওয়াত জামিল সৈকত বলেন, আমাদের বাজার মনিটরিং ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে। যেসব বাজারে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করা হবে, সেখানে অভিযান চালানো হবে। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি ক্রেতাসহ সবাইকে সচেতন হতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২৫
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।