ঢাকা: রাজধানীর গুলশানে পুলিশ প্লাজার সামনে গুলিতে নিহত সুমন মিয়া (৩৫) পেশায় ইন্টারনেট ও ডিশ ব্যবসায়ী ছিলেন। এ ব্যবসা থেকে তাকে হটিয়ে দিতে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন পরিবারের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) গুলশান থানা পুলিশ সুমনকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রাত ১১টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকরা জানান, সুমনকে হাসপাতালের আনার আগেই তিনি মারা যান।
নিহত সুমন রংপুর মিঠাপুকুর এলাকার মাহফুজুর রহমানের ছেলে। বর্তমানে তিনি মিরপুর ভাষানটেক এলাকায় দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন।
নিহতের আত্মীয় বাদশা মিয়া রুবেল বলেন, নিহত সুমন আগে মহাখালী টিভি গেট এলাকায় থাকতো। সেখানেই সে ইন্টারনেট ও ডিশ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত দীর্ঘ বছর ধরে। পাশাপাশি বনানী এলাকায় যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল।
তিনি আরও জানান, সেই ব্যবসাকে কেন্দ্র করে সেভেন স্টার গ্রুপের সন্ত্রাসী রুবেলের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। বেশ কিছুদিন ধরে সুমনকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল তারা।
তিনি দাবি করেন, তারাই সুমনকে আজকে গুলশান পুলিশ প্লাজার সামনে গুলি করে হত্যা করেছে। মানে সুমনকে তার ব্যবসা থেকে হটিয়ে দেওয়ার জন্যই তাকে হত্যা করা হয়। এছাড়া এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে আরও কোনো ঘটনা আছে কিনা সেটা পুলিশ খুঁজে বের করবে।
নিহত সুমনের মহাখালী টিভি গেট এলাকায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অফিস আছে সেই অফিসটির নাম হলো প্রিয়জন।
গুলশান থানার (এসআই) মারুফ আহমেদ বলেন, ঘটনার বিস্তারিত জানতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। এছাড়া ঘটনায়স্থলে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাত ৯টার দিকে গুলশান পুলিশ প্লাজার উত্তর পাশের সড়কে এ গুলির ঘটনা ঘটে। গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মারুফ আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, যতটুক প্রাথমিকভাবে জানা গেছে নিহত ব্যক্তি পুলিশ প্লাজার উত্তর পাশের রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেখানে কয়েকজনের সঙ্গে হঠাৎ ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করলে তিনি দৌড়ে রাস্তার ওপর চলে যান। তারপরও তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
গুলশান থানার পুলিশের দাবি, নিহত সুমনের বিরুদ্ধে গুলশান, বনানী ও বাড্ডা থানায় মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: গুলশান পুলিশ প্লাজার সামনে ধস্তাধস্তি, গুলিতে নিহত ১
বাংলাদেশ সময়: ০০১৫ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২৫
এজেডএস/জেএইচ