ঢাকা, রবিবার, ৯ চৈত্র ১৪৩১, ২৩ মার্চ ২০২৫, ২২ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

খুলনায় মশা নিধনের দাবিতে ধূপ, কয়েল জ্বালিয়ে ও মশারী নিয়ে বিক্ষোভ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২৫
খুলনায় মশা নিধনের দাবিতে ধূপ, কয়েল জ্বালিয়ে ও মশারী নিয়ে বিক্ষোভ

খুলনা: মশা নিধন এবং মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে রক্ষার দাবিতে খুলনা নাগরিক সমাজের উদ্যোগে ধূপ ও কয়েল জ্বালিয়ে এবং মশারী নিয়ে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২২ মার্চ) দুপুরে মহানগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

 

খুলনা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আ ফ ম মহসীনের সভাপতিত্বে এ সময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মো. বাবুল হাওলাদার।

সংগঠনের সদস্য এস এম দেলোয়ার হোসেনের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নারী নেত্রী সুতপা বেদজ্ঞ, নাগরিক নেতা মিজানুর রহমান বাবু, শেখ মফিদুল ইসলাম, মুনীর চৌধুরী সোহেল, ডা. নাসির উদ্দিন, সরদার আবু তাহের, শেখ মো. নাসির উদ্দিন, আব্দুস সালাম শিমুল, এইচ এম আলাউদ্দীন, রোটা. কামরুল করিম বাবু, আবু আসলাম বাবু, মাহবুবুর রহমান মুন্না, এফ এম মনিরুজ্জামান, ডা. সৈয়দ মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু, খ ম শাহীন হোসেন, অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান, প্রফেসর রোটা. উত্তম দাস, সাঈদা পারভীন, সাইফুর রহমান মিনা, জাহানারা আক্তারী, প্রমি আক্তার লিজা, সৈয়দ রিয়াসাত আলী রিয়াজ, মীর কবির হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার শাহ নেওয়াজ, নাজমুল হোসেন, ওয়াহিদুজ্জামান জাহাঙ্গীর, সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ।

এ ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বক্তারা বলেন, মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে রক্ষা করতে হলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও কীটনাশক ব্যবহারসহ সমন্বিত পরিকল্পনা নিয়েছে ও বাস্তবায়ন করতে হবে। মশার প্রজনন মৌসুমে প্রজননক্ষেত্র চিহ্নিত পূর্ব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, উপযোগী কীটনাশক ব্যবহার, লার্ভা ধ্বংসের জন্য উপযোগী ওষুধ ছিটানো, ড্রেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন সর্বোপরি সঠিকভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম নিশ্চিত করতে হবে। ওষুধ ক্রয়, সংরক্ষণ, ব্যবহারে স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। ওষুধ ছিটানো কাজে নিয়োজিত জনবলকে মনিটরিংয়ের আওতায় আনতে হবে। ড্রেনসহ যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে নগরবাসীকে বিরত রাখতে সচেতনতামূলক কর্মসূচি, প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইন প্রয়োগ করতে হবে। সিঙ্গেল ইউজড পলিথিন বন্ধ করতে হবে। পলিথিন ড্রেন, নর্দমা, জলাশয়ে ময়লার স্তূপ তৈরি করে মশার বংশ বিস্তার করে, পানি চলাচলে বাধা সৃষ্টি করায় মশার প্রজনন ভয়াবহ আকারে বৃদ্ধি পায়। নগরবাসীকে সুপরিকল্পিত ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার নিরিখে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আওতায় আনতে হবে। নগরীর পার্শ্ববর্তী ময়ূর নদ এবং এর শাখা-প্রশাখা-খাল সচল কর্মসূচি নিতে হবে। প্রয়োজনে নাগরিক সমাজ, শিক্ষার্থী, সমাজ হিতৈষী নগরবাসীকে এ কাজের সাথে যুক্ত করার পরিকল্পনা নিতে হবে। কারণ মশার কারণে ব্যবসা বাণিজ্য, শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া, ধর্মীয় উপাসনা সর্বোপরি নগরবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে রয়েছে নগরবাসী। দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান করতে না পারলে মশাবাহিত রোগের কারণে বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে বলে বক্তারা উল্লেখ করেন।

বক্তারা ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার ইতঃপূর্বেকার ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে পুনরায় অপ্রত্যাশিত স্বাস্থ্য সংকটের মুখোমুখি না হতে হয় সেজন্য সবাইকে সচেতন ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২৫
এমআরএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।