ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ চৈত্র ১৪৩১, ২৫ মার্চ ২০২৫, ২৪ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা পুনঃতদন্তে কমিশনের সময় বাড়ল

পিংকি আক্তার, সিনিয়র মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২৫
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা পুনঃতদন্তে কমিশনের সময় বাড়ল সংগৃহীত ফাইল ছবি

ঢাকা: বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা পুনঃতদন্তের জন্য গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনকে ৯০ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়, যা ২৪ মার্চ শেষ হচ্ছে।

তবে তদন্ত কমিশন সূত্রে জানা যায়, কমিশনের সময় জুন মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কমিশনের সদস্য মুন্সী আলাউদ্দিন আল আজাদ।

তিনি বলেন, তদন্তের প্রতিবেদন প্রায় শেষ তবে প্রকৃত তথ্য সামনে নিয়ে আসতে কারাবন্দি অভিযুক্তদের সঙ্গে কথা বলাও জরুরি। সেই সাথে এ ঘটনায় পলাতকদের সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে। এজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছে স্বাধীন কমিশনের পক্ষ থেকে। তবে এই ৯০ দিনে তদন্তে কী তথ্য উঠে এসেছে, তা এখনই প্রকাশ করছে না কমিশন।

ঘটনাস্থল থেকে যারা প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন, ইতোমধ্যেই তাদের অনেকের সঙ্গে কথা বলেছে স্বাধীন তদন্ত কমিশন। প্রত্যক্ষদর্শীদের পাশাপাশি সেই সময়ে কর্তব্যরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের বক্তব্যও শুনেছেন কমিশনের সদস্যরা। তখন কার কী ভূমিকা ছিল, কে কী হুকুম দিয়েছেন, সামরিক অপারেশনে কারা বাধা দিয়েছেন এবং কারা আলামত ধ্বংস করেছেন; সবই বের করার চেষ্টা করছে বলে জানান আলাউদ্দিন আল আজাদ।

তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের একাধিক মন্ত্রী ও নেতা পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের স্বজনসহ বিভিন্ন পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে। এমনকি হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পেছনে ‘বিদেশি শক্তি’ জড়িত ছিল বলেও দাবি করেন অনেকে।

“সেখানে রাজনৈতিক কোনো গোষ্ঠী বা বিদেশি সংস্থার সংশ্লিষ্টতা ছিল কি না, সেটি গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা করা হচ্ছে,” বলেন কমিশনের এই সদস্য।

প্রয়োজনে আরও বর্ধিত করতে হবে, কিন্তু প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনার জন্য স্বাধীন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পূর্বের তদন্ত কমিশনের সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাসান নাছির। তিনি মনে করছেন, বর্তমান কমিশন সঠিকভাবেই তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং তদন্ত প্রক্রিয়া এই পথে এগোলে সঠিক ঘটনা জাতির সামনে তুলে আনা সম্ভব।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ চলাকালে বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা এবং ১৭ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করা হয়।

বিডিআর বিদ্রোহের ওই ঘটনার পর হত্যা ও বিস্ফোরণ আইনে করা মামলায় ১৩৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। এ ছাড়া আরও অন্তত ২২৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২৫
পিএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।