পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ে সরকারি আধুনিক সদর হাসপাতালে মিলছে না জলাতঙ্ক রোগের ‘র্যাবিস’ টিকা। এতে করে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগীসহ স্বজনেরা।
হাসপাতালে টিকা না থাকায় রোগীদের জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকা কিনতে হচ্ছে ফার্মেসি থেকে। যেখানে হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে পাওয়া যায় এই টিকা, সেখানে ফার্মেসি থেকে কিনতে হচ্ছে ৫৩০ থেকে ৫৬০ টাকা দরে।
টিকা কিনে হাসপাতালে এনে দিলে রোগীকে তা দিচ্ছেন সেবিকারা। অন্যদিকে ফার্মেসিগুলোর বিরুদ্ধে বাড়তি দাম নেয়ারও অভিযোগ করছেন রোগীর স্বজনেরা।
সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে জানা যায়, জেলায় একমাত্র পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন সরবরাহ থাকে। গত একমাস ধরে হাসপাতালের জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে মিলছে না বিনামূল্যের এই টিকা। দেয়ালে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে নোটিশ।
হাসপাতালের তথ্য বলছে, প্রতি মাসে জেলার পাঁচ উপজেলা থেকে প্রায় দেড় হাজার রোগী জলাতঙ্কের চিকিৎসা নিতে আসেন। এর বিপরীতে প্রতিমাসে ৪০০ ভায়াল ভ্যাকসিন পাওয়া যায়। যা দিয়ে দুই হাজার রোগীর সেবা দেওয়া সম্ভব হয়।
কুকুরের কামড়ের শিকার নুরুজ্জামাল হক বাংলানিউজকে বলেন, হাসপাতালে সরবরাহ নেই বলে জানিয়েছেন নার্সরা। তাই বাইরে ফার্মেসিতে গিয়ে কিনতে হচ্ছে।
একই অভিযোগ জেলার তেঁতুলিয়া থেকে আট বছরের ছেলেকে নিয়ে আসা লায়লি বেগমের। তিনি বাংলানিউজকে জানান, তেঁতুলিয়ায় এই টিকা না থাকায় পঞ্চগড়ে ছেলেকে নিয়ে এসেছি। কিন্তু এখন ডাক্তার দেখানোর পর টিকাকেন্দ্রে এলে বাইরে থেকে কিনতে বলা হলো।
হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকেরা বলছেন, বর্তমান জেলায় আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে জলাতঙ্কের টিকা নিতে আসা রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিন ছুটে আসা রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে হাসপাতালে নেই জলাতঙ্কের টিকার সরবরাহ।
এদিকে পঞ্চগড়ের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. আফরোজা বেগম রিনা বাংলানিউজকে বলেন, অন্যান্য জেলার মতো পঞ্চগড়ে জলাতঙ্কের টিকা সরবরাহ হচ্ছে না। বার বার চাহিদা পাঠানো হচ্ছে। প্রায় একমাস ধরে টিকা না থাকায় সবাইকে কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। চাহিদা পাঠানো হয়েছে। আশা করি দ্রুত এই টিকা হাসপাতালে পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৯ ঘণ্টা, ০১ এপ্রিল, ২০২৫
আরএইচ