ঢাকা: ঈদুল ফিতরের দ্বিতীয় দিনেও দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে রাজধানীর অন্যতম বিনোদনকেন্দ্র জাতীয় চিড়িয়াখানায়।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সোয়া এক লাখ দর্শনার্থী মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানায় এসেছে।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সকাল ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখা যায়, চিড়িয়াখানার সড়কে বাস-সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও প্রাইভেটকারের দীর্ঘসারি। একইসঙ্গে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। চিড়িয়াখানার ভেতরে পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ আগেই শেষ করেছে কর্তৃপক্ষ। বাহারি গাছগুলোর গোঁড়ায় করা হয়েছে সাদা-লাল রং, বসানো হয়েছে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, এবার অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে তিনটি জেব্রা ও ১১ মাস বয়সী বাঘের শাবক। এ ছাড়াও দর্শনার্থীরা দেখতে পাবেন ‘শাপলা-পদ্ম’ । এখানে সর্বমোট ১৩৬ প্রজাতির তিন হাজার ৩২০টি পশুপাখি রয়েছে। তবে এবার দেখানো হচ্ছে না কোনো পশুর খেলা। গতবার হাতির খেলা দেখানোর সময় এক কিশোর মারা গেছে। তাই এবার নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বন্ধ রয়েছে হাতির খেলা।
রাজধানীর ভাটারা এলাকা থেকে এসেছেন মোজাম্মেল। তিনি বলেন, বাবা ও ছেলেকে নিয়ে এসেছি। ঈদের দ্বিতীয় দিনে এত মানুষ আসবে বুঝতে পারিনি। দর্শনার্থী রায়হান রহমান বলেন, পরিবারের ছোট-বড় ছয়জনকে নিয়ে এসেছি। এত ভিড়, তারপরও ছোট শিশুরা পশু-পাখি দেখে বেশ উপভোগ করছে। ওরা বাঘ বাঘ বলে আনন্দ-উল্লাস করছে। ওরা তো শুধু বই আর টেলিভিশনে দেখে থাকে, আজ জীবন্ত দেখলো।
আজিমপুর থেকে আসা আমজাদ খাব বলেন, মিরপুর চিড়িয়াখানা ছাড়া তেমন কোনো বড় বিনোদনকেন্দ্র নেই, যেখানে পরিবার নিয়ে যাওয়া যায়। চিড়িয়াখানাই একমাত্র ভরসা। মানুষের ভিড় থাকলেও গাছ-পালা আর প্রাণীদের সঙ্গে সময় কাটানো যায়।
তিনি আরও বলেন, আমার মেয়েটা বেশ আনন্দ পাচ্ছে, প্রাণীদের দেখে নাম ধরে ডাকছে।
জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, দুপুর পর্যন্ত দর্শনার্থী এসেছে প্রায় সোয়া এক লাখ। আমরা ধারণা, বিকেল পর্যন্ত দুই লাখ দর্শনার্থী আসবে।
তিনি বলেন, নিরাপত্তা বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়েছি। পুলিশ তৎপর রয়েছে। যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২৫
এমএমআই/এএটি
বাংলাদেশ সময়: ৪:০৯ পিএম, এপ্রিল ১, ২০২৫ / এএটি