পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে ঘুষের টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মীর এ কে এম আবুল খায়ের।
জানা গেছে, উপজেলার চরনী পত্তাশী রহিম স্মৃতি দাখিল মাদরাসার সহকারী মৌলভি মো. নজরুল ইসলাম তার বেতন স্কেল বাড়াতে ওই শিক্ষা কর্মকর্তাকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দেন।
বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্তি না করার কারণে তার কাছে বার বার টাকা ফেরত চাইলে তিনি টাকা দেয়নি। এ কারণে ভুক্তভোগী শিক্ষক ওই শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করেন। কিছুদিন পরে ইন্দুরকানী উপজেলা থেকে মঠবাড়িয়া উপজেলায় বদলি হন এবং ইন্দুরকানী উপজেলা শিক্ষা অফিসার হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। গত সপ্তাহে শিক্ষা অফিসার মীর এ কে এম আবুল খায়ের মঠবাড়িয়া থেকে ভোলা চরফ্যাশন উপজেলায় বদলি হন। গত সোমবার (০৭ এপ্রিল) ওই উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জেলা শিক্ষা অফিস থেকে বদলির ছাড়পত্র নেওয়ার সময় ভুক্তভোগী শিক্ষক সেই টাকা দাবি করেন এবং তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে জেলা শিক্ষা অফিসের সমঝোতায় ভুক্তভোগী শিক্ষককে বিভিন্ন খরচ বাদ দিয়ে ২৫ হাজার ঘুষের টাকা ফেরত দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম জানান, তার কাছ থেকে বেতন স্কেল উন্নতি করণের জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মীর এ কে এম আবুল খায়ের ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন। জেলা শিক্ষা অফিসের সহায়তায় তিনি ২৫ হাজার টাকা ফেরত পেয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক জানান, শিক্ষা অফিসার মীর এ কে এম আবুল খায়ের ইন্দুরকানী উপজেলায় আট বছর কর্মরত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ঘুষ, শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম ও সরকারি টাকা আত্মসাতের বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
অভিযুক্ত উপজেলা শিক্ষা অফিসার মীর এ কে এম আবুল খায়েরের কাছে এ ব্যাপারে জানতে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০২৫
আরএ