ঢাকা, রবিবার, ২৯ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সালথায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৪০

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২৫
সালথায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৪০ সালথায় দুপক্ষের সংঘর্ষ

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এছাড়া উভয়পক্ষের ১০টি দোকান পাট ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।

বুধবার (০৯ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বালিয়া বাজারে স্থানীয় জাহিদ মাতুব্বর ও নুরু মাতুব্বরের পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী চলে এ সংঘর্ষ। এ সময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে রূপ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকার নুরু মাতুব্বর ও জাহিদ মাতুব্বর গ্রুপের মধ্যে পূর্ব বিরোধ রয়েছে। বর্তমানে নুরু মাতুব্বর এই বিরোধকে কেন্দ্র করে একটি মামলায় কারাগারে রয়েছেন। কারাগারে থাকায় এই পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তার ভাই মুনসুর মাতুব্বর।  

এই বিরোধের জেরে দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র ঢাল-সড়কি, রামদা, ইট-পাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নুরু মাতুব্বরের সমর্থক নান্নু মাতুব্বরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তালা ভেঙে লুটপাট করে নেয় প্রতিপক্ষ। এরপরই দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে। পরে রাত পৌনে ১০টার দিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।  

এ বিষয়ে জানতে কথা হয় জাহিদ মাতুব্বরের সঙ্গে। তিনি নিজেকে বিএনপি নেতা দাবি করে বলেন, ২০১৮ সালের শামা ওবায়েদ রিংকু (বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক) আপার গাড়িতে হামলা করে আওয়ামী লীগ দোসররা। তারাই আবার এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে বুধবার বিকেলে আমার সমর্থক বাজারের ইলেকট্রিক্যাল ব্যবসায়ী মামুন শেখকে (৩৫) মারধর করে। এরপরই মারামারি শুরু হয়। এই মারামারিতে আমার পক্ষের প্রায় ২০ জন আহত হয়েছে। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।    

এদিকে মুনসুর মাতুব্বরও নিজেকে এবং ভাই নুরু মাতুব্বরকে বিএনপি নেতা দাবি করেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের লোকজনের সঙ্গে আমাদের মারামারি হয়েছে। জাহিদ মাতুব্বর লাবু চৌধুরীর (সাবেক এমপি) লোক। বিগত দিনে ওদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ ছিলাম। বুধবার বিকেলে বালিয়া গ্রামে আমাদের পক্ষের সবুর খাঁকে প্রথমে মারধর করে ওরা। এছাড়া তার পক্ষের অনেকে আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ শুরু হয়। রাত হওয়ায় সংঘর্ষ ঠেকাতে বেগ পেতে হয়। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতায় দুই পক্ষকে ধাওয়া দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২৫
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।