ঢাকা: ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে এবং গণহত্যার শিকার এ জনগোষ্ঠীর প্রতি সমর্থন জানিয়ে রাজধানীতে আয়োজন করা হয়েছে 'মার্চ ফর গাজা' কর্মসূচি। এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নগরীর কাকরাইলে সেনবাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থান দেখা গেছে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর কাকরাইল মোড় ও কাকরাইল মসজিদ মোড়ে এ চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাকরাইল মোড়ে পুলিশ এবং কাকরাইল মসজিদ মোড়ে সেনাবাহিনীর ব্যাপক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। কাকরাইল মসজিদ মোড়ে একটি জলকামানও দেখা গেছে। খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাওয়া জনতাকে সেসব জায়গায় তল্লাশি করা হচ্ছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত কোনো সংগঠনের ব্যানার বা পতাকা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী কোনো বস্তু যাতে কেউ সমাবেশস্থলে নিয়ে যেতে না পারে সেজন্যই এ তল্লাশি। তল্লাশির সময় কালো কাপড়ে কালেমা লেখা কোনো কাপড় বা পতাকা পাওয়া গেলে সেগুলো রেখে দিতে দেখা যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে।
এদিকে কাকরাইল কেন্দ্রিক সড়কে এখনো যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। মার্চ ফর গাজায় অংশ নিতে আসা জনতাকে হেঁটে, রিকশায়, মিনি ট্রাক বা পিকআপে করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দিকে যেতে দেখা গেছে৷ তাদের কারো হাতে, কারো কপালে ফিলিস্তিনের পতাকা দেখা গেছে৷ পাশাপাশি ফিলিস্তিনের পক্ষে তাদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে। তবে সড়কে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা যায়নি।
কাকরাইল মোড়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিনিয়র এএসপি (পিএমও) মো. আমজাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছ। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয়, সেজন্য আমরা সতর্ক রয়েছি। কেউ যাতে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের ব্যানার বা পতাকা নিয়ে যেতে না পারে সেজন্য আমরা সজাগ আছি। কর্মসূচিতে যাওয়া ব্যক্তিরা আমাদের সহযোগিতা করছেন, আমরাও তাদের সহযোগিতা করছি। কর্মসূচির কারণে সাধারণ মানুষ যাতে হয়রানি না হয় এবং ট্রাফিক ব্যবস্থা যাতে স্বাভাবিক থাকে সেটা আমরা নিশ্চিত করছি।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে রাজধানীতে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি পালন করছে ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম।
শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উদ্দেশে কর্মসূচির সময় নির্ধারিত থাকলেও সকাল থেকেই উদ্যানে সমবেত হতে থাকেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। কারো হাতে ফিলিস্তিনের পতাকা, কারও বা মাথায় বাঁধা প্রতিবাদী ব্যানার—সবাই একসঙ্গে চলেছেন গন্তব্যের দিকে। সকাল ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পেছনের গেট দিয়ে প্রবেশ করতে দেখা যায় মুসল্লিসহ সাধারণ মানুষকে। এক হাতে পতাকা, অন্য হাতে প্রতিবাদের চেতনায় ভরা প্ল্যাকার্ড—প্রতিটি মুখেই ক্ষোভ আর দৃঢ়তা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২৫
এসসি/জেএইচ