যশোর: বাংলাদেশে বর্ষবরণ শেভাযাত্রার উদ্যোক্তা মাহবুব জামাল শামীমকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট ও নগদ টাকা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টায় কালেক্টরেট চত্বর থেকে বর্ষবরণ শোভাযাত্রা শুরুর আগে তাকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।
বর্ষবরণ শেভাযাত্রার সূচনা হয়েছিল যশোরের শিল্পী মাহবুব জামাল শামিম ও তার প্রতিষ্ঠান চারুপীঠ আর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটে ১৯৮৫ সালে।
এদিকে সাংস্কৃতিক রাজধানী যশোরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে শুরু হয়েছে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব। ধর্ম, বর্ণনির্বিশেষ যশোরবাসী সকাল সাড়ে ৯টায় কালেক্টরেট চত্বর থেকে বর্ষবরণ শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
সকাল সাড়ে ৮টা থেকেই যশোর শহরের নানা প্রান্ত থেকে নানা সংগঠনের ব্যানারে নানা বয়সী মানুষের ঢল নামে যশোরের ঐতিহাসিক কালেক্টরেট চত্বরে।
সবাই সেজেছিলেন বর্ণিল সাজে। ঢোলের তালে তালে নেচে-গেয়ে মাতিয়ে তোলা হয় পুরো চত্বর। আবহমান বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্যের স্মারক হিসেবে অনেকে এসেছিলেন জেলে, কামার, কুমোর, কৃষক, বাউল, রাজা, রানির বেশে।
সকাল সাড়ে ৯টায় সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বাংলা ১৪৩২ সন বরণ। এরপর শিল্পীরা পরিবেশন করেন ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’। এরপরই অনুষ্ঠান মঞ্চে ওঠেন জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার রওনক জাহান, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন এবং জেলা পরিষদের সিইও আসাদুজ্জায়ান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরেই হয় বর্ষবরণ শোভাযাত্রা। নেচে-গেয়ে, হই-হুল্লোড় করে মানুষ র্যালিতে অংশ নেন। ছিল পরিবেশ ও প্রতিবেশের প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ হিসেবে গাছ, পাহাড়, নদী, পাখ-পাখালি। আরও ছিল পালকি, ঘোরার গাড়ি ইত্যাদি।
বর্ণাঢ্য র্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে যশোর ইনস্টিটিউট চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
এদিকে প্রথম প্রভাতে নবকিশলয় স্কুল, পৌরপার্ক, চারুপীঠ চত্বরসহ শহরের নানা প্রান্তে শুরু হয় বর্ষবরণের অনুষ্ঠান।
কবিতা, নাচ, গান, জারি, সারি, ভাটিয়ালিতে নতুন বছরকে স্বাগত জানান যশোরবাসী। বছরের প্রথম প্রভাতে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোতে আয়োজন করা হয় মিষ্টি মুখের। জেলা প্রশাসকের বাসভবনে আয়োজন করা হয় পান্তা উৎসবের। পান্তা উৎসব ও র্যালির আয়োজন করে জেলা বিএনপি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২৫
এসআই