ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ বৈশাখ ১৪৩২, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সার্ক নিয়ে বাংলাদেশ-নেপালের অবস্থান অভিন্ন: রাষ্ট্রদূত

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২৫
সার্ক নিয়ে বাংলাদেশ-নেপালের অবস্থান অভিন্ন: রাষ্ট্রদূত সেমিনারে ঢাকায় নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থাকে (সার্ক) এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ও নেপালের অবস্থান অভিন্ন বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী।

রোববার (২০ এপ্রিল) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিস) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-নেপাল বন্ধন: নতুন উচ্চতার দিকে’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিস মিলনায়তনে আয়োজিত সেমিনারে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালে কাঠমান্ডুতে সর্বশেষ সার্ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর আর কোনো সামিট হয়নি। সেই সময় থেকে নেপাল সার্কের চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। যদিও সার্কের টেকনিক্যাল কমিটি ও ওয়ার্কিং গ্রুপগুলো কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, রাজনৈতিক পর্যায়ে বিশেষ অগ্রগতি হয়নি। সদস্য দেশগুলো সম্মত না হলে সামিট বা মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক এগোনো সম্ভব নয়। তবে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, সার্ককে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ ও নেপালের অবস্থান এক।

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বাংলাদেশ ও নেপাল ভৌগোলিক নৈকট্য, ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক বন্ধন ভাগ করে নিয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, সংযোগ, জ্বালানি সহযোগিতা এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। এ ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্ব পারস্পরিক উন্নয়ন এবং আঞ্চলিক একীকরণের বিপুল সম্ভাবনা বহন করে।

তিনি বলেন, স্থলবেষ্টিত নেপাল আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহার করে উপকৃত হতে পারে। একইভাবে, বাংলাদেশ তার ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা পূরণে নেপালের নবায়নযোগ্য জলবিদ্যুৎ আমদানির মাধ্যমে উপকার পেতে পারে। ভৌত সংযোগ—বিশেষ করে সড়ক, রেল এবং বিমান—এই দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ। এ সংযোগ উন্নয়ন বাণিজ্য ও পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. নিলয় রঞ্জন বিশ্বাস।

উন্মুক্ত পর্বে বক্তারা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ-নেপাল অংশীদারিত্ব আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। উভয় দেশ একক নির্ভরতা কমিয়ে বৈদেশিক সম্পর্ক বৈচিত্র্যময় করার চেষ্টায় রয়েছে। তাদের এ সহযোগিতা বাস্তবভিত্তিক কূটনীতির একটি মডেল হয়ে উঠতে পারে।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিস চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গাউসুল আজম সরকার। স্বাগত বক্তব্য দেন বিস মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ইফতেখার আনিস।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ এপ্রিল ২০, ২০২৫
টিআর/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।