ঢাকা: ‘আমার পুলিশ আমার দেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) শুরু হচ্ছে ‘পুলিশ সপ্তাহ- ২০২৫’।
চার দিনব্যাপী এ পুলিশ সপ্তাহ চলবে আগামী শুক্রবার (২ মে) পর্যন্ত।
উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস্ অডিটরিয়ামে আয়োজিত এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুলিশ সদস্যদের প্রসংশনীয় কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ পদক দেবেন তিনি। কার্যকর পুলিশিং ব্যবস্থা চালু করতে আনুষ্ঠানিকতার বাইরে এবারের ‘পুলিশ সপ্তাহে’র আনুষ্ঠান সূচি বিভিন্ন প্রেজেন্টেশন, কর্মশালা ও সম্মেলন দিয়ে সাজানো হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস্ অডিটরিয়ামে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তাদের মতবিনিময়ের আয়োজন রাখা হয়েছে। পাশাপাশি বিকেলে একই স্থানে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনার আলোকে কর্মপরিকল্পনার ওপর কর্মশালা ও পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) প্রেজেন্টেশন অনুষ্ঠিত হবে।
‘পুলিশ সপ্তাহে’র দ্বিতীয় দিন বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজারবাগ পুলিশ লাইনস্ অডিটরিয়ামে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), ট্যুরিস্ট পুলিশ, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ), হাইওয়ে পুলিশ, এপিবিএন, রেলওয়ে পুলিশ, নৌ পুলিশ ও শিল্পাঞ্চল পুলিশের প্রেজেন্টেশন অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি সন্ধ্যায় একই স্থানে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সচিবদের সম্মেলন হবে।
তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার (১ মে) অনুষ্ঠিত হবে আইজি’জ ব্যাজ প্রদান, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো.
বাহারুল আলমের সম্মেলন, নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা, বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন ও পুলিশ অফিসার্স মেসের বার্ষিক সাধারণ সভা এবং অবসরপ্রাপ্ত ও কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তাদের পুনর্মিলনী।
চতুর্থ দিন শুক্রবার (২ মে) বার্ষিক পুনাক সমাবেশ ও আনন্দ মেলা এবং পুলিশ নারীকল্যাণ সমিতির স্টলের পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হবে ‘পুলিশ সপ্তাহ- ২০২৫’।
এ উপলক্ষে সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর বেইলী রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পুলিশ সপ্তাহ সংক্রান্ত ব্রিফিংয়ে আইজিপি মো. বাহারুল আলম বলেন, এবার পুলিশ সপ্তাহ অনাড়ম্বরভাবে করছি। যেখানে উৎসব-আনন্দ একদমই থাকছে না। পুলিশ সপ্তাহ আমরা আনুষ্ঠানিক না করে কার্যকর করতে চাচ্ছি। এবারের পুলিশ সপ্তাহের প্রতিপাদ্য, ‘আমার পুলিশ আমার দেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ। ’ এ ভাবনাটি আমরা দেশবাসীর মনে সঞ্চারিত করতে চাই। তারা যেন বলতে পারেন বৈষম্যহীন বাংলাদেশের এ পুলিশ আমাদের।
তিনি আরও বলেন, আনন্দ-উৎসব বাদ দিয়ে এবার অনেক বেশি কার্যকর সেশন করা, পেশাগত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা ও বিগত দিনের কর্মকাণ্ড খুঁজে বের করার বিষয়গুলো নিয়ে এ তিনদিন আমরা ব্যস্ত থাকব। সারাদেশের পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপাররা আসবেন এবং সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা থাকবেন। আগামী দিনে কীভাবে আরও উন্নত পুলিশি সেবা নিশ্চিত করতে পারি, সামনে যেসব চ্যালেঞ্জ আসবে সেগুলো থেকে কীভাবে নিজেদের উত্তোরণ করব এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে। মাঠপর্যায়ে বর্তমান পরিস্থিতি সবার কাছ থেকে নেব, জানবো এবং আগামী দিনে তারা কি কর্মপরিকল্পনা নিয়েছেন সেটা শুনব।
সংবাদ সম্মেলনে আইজিপির সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, এআইজি (মিডিয়া) এনামুল হক সাগর ও পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা এ কে এম কামরুল আহসান।
এসসি/এসআই