ঢাকা: স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন “বাংলাদেশ সাসটেইনেবল রিকভারি ইমারজেন্সি অ্যান্ড রেসপন্স” (বি-স্ট্রং) প্রকল্পে যন্ত্রাংশ কেনাকাটার দাম অস্বাভাবিক নির্ধারণের প্রমান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম। অভিযান শেষে দুদক সূত্রে এতথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের বন্যা-পরবর্তী পুনর্বাসনের জন্য চট্টগ্রাম বিভাগের ছয়টি জেলা—ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া—এই প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মোট ১,৯০৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। এর মধ্যে ১,৬৪৭ (এক হাজার ছয়শ সাতচল্লিশ) কোটি টাকা অর্থায়ন করবে বিশ্ব ব্যাংক এবং অবশিষ্ট অংশ ব্যয় করবে বাংলাদেশ সরকার। তবে প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগেই বিভিন্ন জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক মূল্য নির্ধারণের অভিযোগ পায় দুদক।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, স্ট্রিট সোলার লাইটের প্রতিটির মূল্য ধরা হয়েছে ৭২ হাজার টাকা, যদিও পরিকল্পনা কমিশনের মতে এসব লাইটের কোনো প্রয়োজনই নেই। একইভাবে ৬০টি মোটরসাইকেলের প্রস্তাব করা হলেও পরিকল্পনা কমিশন তা কমিয়ে ৩৬টিতে সীমাবদ্ধ রাখার নির্দেশ দেয়।
এছাড়া ল্যাপটপ, কম্পিউটার ও বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণসহ অন্যান্য খাতে যে ব্যয় দেখানো হয়েছে, তা অস্বাভাবিক বলে মনে করা হয়েছে। বিশেষ করে ৪টি ল্যাপটপের জন্য মোট ১১ লাখ টাকা ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে, যা দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
অভিযানকালে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট নথিপত্র সংগ্রহ করে দুদক টিম, যা যাচাইপূর্বক কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
এসএমএকে/এমএম