প্রিটোরিয়াতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার শাহ আহমেদ শফী নামিবিয়ার রাষ্ট্রপতি নাতেমবো নানদিন দাইতওয়াহ’র কাছে নামিবিয়াতে বাংলাদেশের অনাবাসিক হাইকমিশনার হিসেবে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।
শনিবার (১০ মে) প্রিটোরিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
এতে উল্লেখ করা হয়, অনুষ্ঠানে বাংলাদেশসহ মোট পাঁচটি দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা পরিচয়পত্র পেশ করেন। বাংলাদেশ পর্বের পরিচয়পত্র পেশ অনুষ্ঠানটি নামিবিয়ার রাজধানী উইন্ডহোকে অবস্থিত রাষ্ট্রপতির অতিথি ভবনে আয়োজিত হয়।
অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার শাহ আহমেদ শফী বাংলাদেশ ও নামিবিয়ার মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে বক্তব্য দেন। তিনি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং নামিবিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার যে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে, সে ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন।
তৈরি পোশাক ও ওষুধশিল্পে বাংলাদেশ বিগত কয়েক দশক ধরে যে অভাবনীয় উন্নতিসাধন করেছে, সেকথা তুলে ধরে হাইকমিশনার বলেন, নামিবিয়া চাইলে এদেশে পোশাক কারখানা স্থাপন করা সম্ভব এবং দুই দেশ থেকেই জনশক্তি নিয়োগ দিয়ে এ শিল্প স্থাপন করে পরস্পরের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে নামিবিয়া তাদের বেকারত্ব সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা নিতে পারে।
পৃথিবীর প্রায় ১৬০টি দেশে বাংলাদেশের উৎপন্ন ওষুধ রপ্তানি হয় এবং বাংলাদেশে উৎপাদিত ওষুধ বিশ্বমানের এসব তথ্য উল্লেখ করে নামিবিয়ার রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশ থেকে ওষুধ আমদানির অনুরোধ করেন।
কেনিয়ায় বাংলাদেশের ওষুধ কারখানা স্থাপনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে হাইকমিশনার নামিবিয়ায় বাংলাদেশি ওষুধ কারখানা নির্মাণেরও সুযোগ রয়েছে। এতে নামিবিয়া লাভবান হতে পারে বলে তিনি জানান।
নামিবিয়াতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানা স্থাপনে উভয় দেশই লাভবান হওয়ার প্রসঙ্গে হাইকমিশনার বলেন, এতে নামিবিয়ার জনগণের ব্যাপক হারে কর্মসংস্থান তৈরি হবে এবং তারা এ শিল্পে দক্ষতা অর্জন করবে। অন্যদিকে বাংলাদেশ নামিবিয়াতে পোশাক তৈরি করলে তা ‘এগোয়া’র আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বিনা শুল্কে প্রবেশাধিকার পাবে।
হাইকমিশনার বাংলাদেশ ও নামিবিয়ার মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন এবং দুই দেশের জনগণের মাঝে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর ওপরও জোর দেন এবং এ বছরের মধ্যে নামিবিয়া থেকে বাংলাদেশে একটি উচ্চ পর্যায়ের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল পাঠানোর জন্য নামিবিয়ার রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করেন। নামিবিয়া চাইলে বাংলাদেশ থেকেও সরকারের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল আসতে পারে।
এর আগে হাইকমিশনার নামিবিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি বাংলাদেশ ও নামিবিয়ার মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সময় বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রথম সচিব ড. কাজী মো. জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
টিআর/এমজেএফ