ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২২ মে ২০২৫, ২৪ জিলকদ ১৪৪৬

জাতীয়

সবাই চায় সরকারি চাকরি, অনেক মজা: সাখাওয়াত হোসেন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:১৯, মে ২১, ২০২৫
সবাই চায় সরকারি চাকরি, অনেক মজা: সাখাওয়াত হোসেন সম্মেলনে উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন

ঢাকা: পড়াশোনা শেষে সবাই চায় সরকারি চাকরি। বেতন যাই থাকুক না কেন, অনেক ধরনের সুবিধা আছে- এমনটি বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন।

বুধবার (২১ মে) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘যুবকদের সংস্কার ভাবনা: কর্মসংস্থান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্মেলনে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমনটি বলেন।

এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমাদের দেশে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, শিক্ষিত বেকার যুবক। শিক্ষা শেষে সবাই চায় একটা চাকরি এবং সরকারি চাকরি। সরকারি চাকরি প্রথম পছন্দ। সরকারি চাকরিতে অনেক মজা আছে। বেতন যাই থাকুক না কেন অনেক ধরনের সুবিধা আছে।

‘তুমি মাল্টিবিলিনিয়ার হতে পারো। তুমি অনেক ধনী হতে পারো। দেখছেন তো কানাডায়, আমেরিকায়, ইন্দোনেশিয়ায়, মালয়েশিয়ায় বাড়ি করা যায়। ঢাকা শহরে ছোট একটি বাড়ি হলেও হবে, তবে কমপক্ষে যেন ছেলে-মেয়ে বিদেশে পড়তে যায়। বেতন হিসাব করে দেখুন, এসব অ্যাফোর্ডেবল না। আমি সবার কথা বলছি না। তবে অনেক ভালো-সৎ অফিসার আছে। ’

তিনি বলেন, আমাদের দেশে গত কয়েক বছরে এই ট্রেন্ড হয়ে গেছে। যদি কোনো কিছু কিনতে হয়, দাম যদি ১০০ টাকা হয়, এর মধ্যে ২০০ টাকা ঢোকাও। ২০০ টাকা ভাগ-বাঁটোয়ারা হয়ে যায়। এটা আমার ১০-১১ মাসের অভিজ্ঞতা।

শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা বলেন, সমস্যা হলো শিক্ষিত বেকারের কথা যদি বলি, আমেরিকায় গিয়ে আমরা ট্যাক্সি চালাব, রেস্টুরেন্টে কাজ করব, কিন্তু বাংলাদেশে করতে পারি না। এটি বড় সমস্যা। আমাদের দেশে একটা সোশ্যাল ট্যাবু হয়ে গেছে, ট্যাক্সি চালালে বিয়ের বাজারে সে অচল।

গবেষণার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার কথা পছন্দ নাও হতে পারে। সরকারের লোকজন দিয়ে এই ধরনের কোনো চিন্তা-ভাবনা করাতে পারবেন না। কারণ আমাদের মন-মানসিকতা হচ্ছে নয়টা-পাঁচটা। পাঁচটার সময় আমরা অফ। সারাদিন ফাইল নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করি, আমাদের গবেষণা বলতে কোনো কিছু নেই।  

‘আমাদের ইন্টেলেকচুয়াল যারা আছেন, তাদের দিয়ে গবেষণা করান। চাকরি করে গবেষণা হয় না। আমি হয় চাকরি করব, নতুবা গবেষণা করব। উপস্থিত সবাই অনেক ব্যস্ত। তারা কাজ করছেন, কিন্তু গবেষণা করার মতো লোক নেই। গবেষণায় সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে যুক্ত করা যেতে পারে। তরুণদের কীভাবে ইউটিলাইজ করা যায়, তা গবেষণার বিষয়। ’

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সিপিডির জ্যেষ্ঠ গবেষণা সহযোগী ফখরুদ্দিন আল কবির।

সম্মেলনে সম্মানিত আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সদস্য অতিরিক্ত সচিব আলিফ রুদাবা, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়ার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, বিডি জবসের সিইও এ কে এম ফাহিম মাসরুর, শেয়ার ট্রিপ লিমিটেডের সিইও সাদিয়া হক, শিখো প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও শাহীর চৌধুরী।

আরকেআর/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।