ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২২ মে ২০২৫, ২৪ জিলকদ ১৪৪৬

জাতীয়

কোরবানির পশুর প্রতি যেন নৃশংসতা না হয়: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:২৪, মে ২১, ২০২৫
কোরবানির পশুর প্রতি যেন নৃশংসতা না হয়: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কোরবানি সম্পর্কিত বিষয়াদির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ কমিটির সভায় বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কোরবানির পশু পরিবহন, হাট ব্যবস্থাপনা ও চামড়া সংরক্ষণ—সবদিক থেকেই ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার। পশুর প্রতি যেন কোনো ধরনের নিষ্ঠুরতা না হয় এবং খামারিরা যেন কোনো ভোগান্তির শিকার না হন—এ বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।

কোরবানির সময় পশুর সঠিক পরিবহন, বাজারে স্বাস্থ্যসেবার উপস্থিতি এবং ক্ষতিকর কেমিকেলমুক্ত পশু নিশ্চিত করতে এবারও বিশেষ পরিকল্পনায় এগোচ্ছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

বুধবার (২১ মে) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কোরবানি সম্পর্কিত বিষয়াদির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ কমিটির প্রথম সভা শেষে এসব তথ্য জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

তিনি বলেন, আমরা পশু পরিবহণ নিয়ে চিন্তিত, আমরা চাই এবার যেন খামারিরা কোরবানির পশু আনতে গিয়ে কোনো প্রকার কষ্ট না পান এবং পশুরাও যেন কোনো কষ্টের শিকার না হয়। সুষ্ঠু বাজার, পরিবহন ও দামে সঠিক বাস্তবায়ন হবে এবার। প্রাণির প্রতি যেন কোনো নৃশংসতা না হয় এবং কোন ধরনের ক্ষতিকারক ওষুধ ব্যবহার করে প্রাণিকে মোটাতাজা না করা হয় সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি।  

ফরিদা আখতার জানান, সারাবছর যেসব খামারিরা পশু লালন-পালন করেন, তাদের জন্য এবার সরবরাহ ব্যবস্থায় বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এই যে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ঢাকায় কোরবানির পশু আসবে, সেখানে যেন একটা সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা থাকে— স্থল, নৌপথ ও ট্রেনেও বিশেষ ব্যবস্থা যেন হয়।

তিনি আরও বলেন, প্রাণি কল্যাণ আইন ২০১৯ নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। এ আইন যেন মেনে চলা হয়, কোনো প্রকার নিষ্ঠুরতা না হয়, সে বিষয়ে আমরা সচেতনতা তৈরি করবো। কোরবানির পশুতে ক্ষতিকর ক্যামিকেল ব্যবহার করে যেন মোটাতাজা না করা হয়, সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।

পশুর হাটে থাকবে ভেটেনারি সার্জন এবং মোবাইল ক্লিনিক, যাদের মাধ্যমে হাটেই পশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হবে বলে জানান উপদেষ্টা।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (২০ মে) কোরবানির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে একটি উচ্চপর্যায়ের ১৭ সদস্যের কমিটি গঠন করে সরকার। বাণিজ্য উপদেষ্টা কমিটির আহ্বায়ক এবং বাণিজ্য সচিব সদস্য সচিব। কমিটিতে রয়েছেন স্বরাষ্ট্র, শিল্প, সড়ক পরিবহন, পরিবেশ, স্থানীয় সরকার, ধর্ম, তথ্য ও সম্প্রচার, এবং প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টারা। সদস্য হিসেবে রয়েছেন আরও সরকারি-বেসরকারি ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।

এই কমিটি কোরবানির চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা, সঠিকভাবে সংগ্রহ ও সংরক্ষণ, পর্যাপ্ত লবণের সরবরাহ নিশ্চিতকরণ এবং চামড়া শিল্প নগরীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দ্রুত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করবে।

জিসিজি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।