ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ৩০ মে ২০২৫, ০২ জিলহজ ১৪৪৬

জাতীয়

সচিবালয়ে বিক্ষোভসহ দিনভর আলোচনায় যেসব খবর

নিউজ ডেস্ক    | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:৫০, মে ২৬, ২০২৫
সচিবালয়ে বিক্ষোভসহ দিনভর আলোচনায় যেসব খবর বাঁ থেকে ডানে সচিবালয়ে বিক্ষোভ, এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সংবাদ সম্মেলন, ইশরাক সমর্থকদের বিক্ষোভ

বিক্ষোভ ও দাবি আদায়ের আন্দোলনে আরও একটি দিন কাটল। সোমবার (২৬ মে) সচিবালয়ে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা।

 

একই সময়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চেয়ারম্যানের অপসারণ চেয়েছেন। এ ছাড়া ১১তম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে অংশ নিয়েছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা।

শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগ নেতা শাকিল আলম বুলবুলকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, ইশরাককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মেয়র না করলে কঠিন আন্দোলনের হুঁশিয়ারি, সরকার ও সেনাবাহিনী একে অপরের বিপরীতে দাঁড়িয়ে নেই- এসব সংবাদ দিনভর ছিল আলোচনায়।

দিনভর সচিবালয়ে অচলাবস্থা, আগামীকালও বিক্ষোভের ডাক

সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ প্রত্যাহারের দাবিতে গত কয়েক দিনের মতো আজও (সোমবার) সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেছেন কর্মকর্তা–কর্মচারীরা।  

আগামীকালও বিক্ষোভ-মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ। একইসঙ্গে একই ধরনের কর্মসূচি পালনের জন্য সারা দেশের সরকারি দপ্তরের কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনটি।

সোমবার বেলা ১১টার পর তৃতীয় দিনের মতো কাজ বন্ধ করে সচিবালয়ের ছয় নম্বর ভবনের সামনে অবস্থান নেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সেখানে এক সমাবেশে নেতারা আজকের মধ্যেই এই আইন বাতিলের দাবি জানান। দাবি মানা না হলে সচিবালয় অচল করে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তারা।

রোববার ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। অধ্যাদেশে চার অপরাধের জন্য চাকরিচ্যুতির বিধান রাখা হয়েছে। সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই অধ্যাদেশকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন’ আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।

এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবি

অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের মো. আবদুর রহমান খানকে অপসারণের দাবিতে অসহযোগ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। আগামী বৃহস্পতিবারের (২৯ মে) মধ্যে মো. আবদুর রহমান খানকে অপসারণ করার দাবি জানিয়েছে পরিষদ।

সোমবার শেরেবাংলা নগরে এনবিআর প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের নেতৃবৃন্দ এ ঘোষণা দেন। নেতারা জানান, এনবিআরকে ভেঙে দুটি বিভাগ করার জন্য জারি করা অধ্যাদেশ প্রত্যাহারসহ চার দফা দাবিতে আন্দোলন চলছিল।  

রোববার সরকারের সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী যথারীতি কাজে যোগ দিয়েছেন। তবে, অন্যতম দাবি হিসেবে এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা না হওয়ায়, তার বিরুদ্ধে অসহযোগ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

নেতারা বলেন, আগামী ২৯ মে’র মধ্যে চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে। তার বিরুদ্ধে আস্থা ও বিশ্বাসের চরম সংকট তৈরি হয়েছে। এ কারণে পূর্বঘোষিত চেয়ারম্যানের সঙ্গে লাগাতার অসহযোগ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে—রাষ্ট্র ও জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে কর-রাজস্ব নীতি প্রণয়ন, আহরণ ও ব্যবস্থাপনায় জ্ঞান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্মকর্তাকে পূর্ণকালীন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে।  

পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে প্রাথমিকের শিক্ষকেরা

তিন দফা দাবিতে আজ সোমবার থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু করেছেন দেশের বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা। প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের ডাকে এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তিন দফা দাবি আদায়ে কর্মবিরতি কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালিত হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।

এর আগে তিন দফা দাবিতে ৫ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত এক ঘণ্টা, ১৬ থেকে ২০ মে পর্যন্ত দুই ঘণ্টা, ২১ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা।

আন্দোলনকারী সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি হলো প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মানোন্নয়নে করা পরামর্শক কমিটির সুপারিশের যৌক্তিক সংস্কার করে সহকারী শিক্ষক পদকে শুরুর পদ ধরে ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা নিরসন ও প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতিসহ দ্রুত পদোন্নতি।

ক্লাসে ফিরছে কারিগরি শিক্ষার্থীরা, দাবি পূরণ হচ্ছে

ছয় দফা দাবিতে আন্দোলনরত কারিগরি শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব খ ম কবিরুল ইসলাম। তিনি জানান, কিছু দাবি ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং বাকিগুলোও প্রক্রিয়াধীন।

সচিব শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে গিয়ে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে এবং নিজেদের ক্যারিয়ার ও দেশের জন্য তৈরি হতে আহ্বান জানান। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন থেকে সরে এসে ক্লাসে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন।

সোমবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব এবং আন্দোলনে যুক্ত শিক্ষার্থীদের পক্ষে এই তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিল কারিগরি শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দলও।

কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি শাহজাদা আহমেদ বলেন, আপনাদের (কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ) প্রতি বিশ্বাস রেখে আমরা ক্লাসে ফিরে যাচ্ছি। আমরা আশা করি, আমাদের দাবিগুলো খুব দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জ্বি, আমরা আপাতত কোনো কর্মসূচিতে যাচ্ছি না। আমরা ক্লাসে ফিরে গেছি এবং স্বাভাবিক থাকব। জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় এমন কোনো কার্যক্রমে আমরা যাইনি, যাবও না।

শেখ হাসিনাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগ নেতা শাকিল আলম বুলবুলকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে আদালত অবমাননার অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

আগামী ৩ জুন সকাল ১০টায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সশরীরে হাজির হয়ে তাদেরকে অভিযোগের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল - ১ এর নির্দেশে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার এ এস এম রুহুল ইমরানের সই করা নোটিশ দুটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।

'আমার বিরুদ্ধে ২২৭টি মামলা হয়েছে, তাই ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি'- শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের একটি অডিও কিছুদিন আগে ভাইরাল হয়।

ওই কথপোকথনের ফরেনসিক পরীক্ষা করে সেটি হাসিনার বলে সত্যতা পাওয়ার কথা জানায় ট্রাইবুনালের প্রসিকিউশন। ওই বক্তব্যের জন্য তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।

২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইশরাককে মেয়র না করলে কঠোর আন্দোলন

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানো হলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তার সমর্থকরা।

সোমবার দুপুরে নগর ভবনের ভেতরে ‘অবস্থান কর্মসূচি’ থেকে এ ঘোষণা দেন কর্মসূচির প্রধান সমন্বয়কারী ও সাবেক সচিব মশিউর রহমান।

তিনি বলেন, আমরা ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিলাম, যার ২৪ ঘণ্টা শেষ হয়েছে। কিন্তু এখনো দাবি মানা হয়নি। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইশরাক হোসেনকে মেয়রের শপথ পড়ানো না হলে আমরা কঠোর থেকে আরও কঠিন আন্দোলনে যাব। ঢাকাবাসী আন্দোলনের মাধ্যমেই তাকে মেয়রের চেয়ারে বসাবে।

তিনি আরও জানান, অবস্থান কর্মসূচি চললেও সরাসরি নাগরিক সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কার্যক্রম চালু থাকবে। এই বিভাগের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা তাদের মালামাল নিতে পারবেন এবং সিটি করপোরেশনের জরুরি সেবাগুলো অব্যাহত থাকবে।

সরকার ও সেনাবাহিনী একে অপরের বিপরীতে দাঁড়িয়ে নেই

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর কোনো মতপার্থক্য বা বিভেদ নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

সোমবার দুপুরে ঢাকায় সেনা সদরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে  এ কথা বলেন সেনা সদরের মিলিটারি অপারেশনস পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা।

তিনি বলেন, যেভাবে বলা হচ্ছে, সরকারের সাথে সেনাবাহিনীর বিশাল মতপার্থক্য হয়েছে, বিভেদ হয়েছে। যেটা দেখছি মিডিয়াতে...এমন আসলে কিছু হয়নি।  

সরকার এবং সেনাবাহিনী খুব সুন্দরভাবে একে অপরের সহযোগিতায় কাজ করছে। সুতরাং এ নিয়ে মিস ইন্টারপ্রেট (ভুলভাবে ব্যাখ্যা) করার কোনো সুযোগ নেই, বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমরা যেন এটাকে এমনভাবে না দেখি যে, সরকার এবং সেনাবাহিনী ভিন্ন ভিন্ন চিন্তা করছে বা একে অপরের বিপরীতে দাঁড়িয়ে আছে। এটা কখনোই নয়। সরকার সেনাবাহিনী একইসঙ্গে কাজ করছে এবং ভবিষ্যতে আরও সুন্দরভাবে কাজ করে যাবো বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।

রাখাইনের মানবিক করিডর ইস্যুতে এক প্রশ্নের জবাবে আরেক সেনা কর্মকর্তা কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, করিডর একটু স্পর্শকাতর বিষয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়, এমন কোনো কাজে সম্পৃক্ত হবে না।

সীমান্তে পুশ-ইনের বিষয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা বলেন, বাংলাদেশ সীমান্তে যে পুশ-ইন লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সেটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এটি বন্ধ করতে যুক্ত হওয়ার প্রয়োজন পড়লে সরকারের নির্দেশে সেনাবাহিনী সেখানেও যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন এই সেনা কর্মকর্তা।

নির্বাচন-সংস্কারের মধ্যে কল্পিত বিরোধ তৈরির চেষ্টা চলছে 

নির্বাচন ও সংস্কারের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই জানিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, এই দুইয়ের মধ্যে এক ধরনের কল্পিত বিরোধ তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সোমবার বিকেলে জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

নির্বাচন আগে নাকি সংস্কার— এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আলী রীয়াজ বলেন, নির্বাচন ও সংস্কারের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। এই বিষয়ে এক ধরনের কল্পিত বিরোধ তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কোনো বিরোধ নেই।  

তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়া এক রকম এবং জাতীয় সনদ তৈরির চেষ্টা, সেটা দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যেই করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে যেন রাজনৈতিক কাঠামো এমনভাবে হয়, যার মধ্যে স্বৈরাচারী ব্যবস্থাটা পুনরায় উত্থিত হতে না পারে এবং নাগরিকদের অধিকারগুলো সুরক্ষিত থাকে।

সংবিধান সংস্কার হবে নাকি পুনর্লিখন হবে— এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংবিধান সংস্কার, সংশোধন নাকি পুনর্লিখন হবে— এটি সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়াগত সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত রাজনীতিবিদরা নেবেন।  

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া কী হবে— জানতে চাইলে  অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন হওয়ার সময় যে প্রজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল, সেখানে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার বিষয়টি অনুল্লেখিত আছে। আমরা যখন রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে মতামত চাই, প্রতিটি সুপারিশের বিষয়ে আমরা বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সম্পর্কেও জানতে চেয়েছিলাম।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো মত দিয়েছে। সেগুলো আমরা একত্রিত করছি। পাশাপাশি এও আমাদের মনে রাখা দরকার, বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরাই নির্ধারণ করবে। এখানে জাতীয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাব নেই।

আরএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।