ঢাকা: তিন দফা দাবিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সহকারী শিক্ষকদের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি চলছে। কর্মবিরতির চতুর্থ দিন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষক নেতাদের সাথে আলোচনার জন্য তালিকা চাওয়া হয়েছে।
সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বাংলানিউজকে বলেন, আজ বিকেল ৩টায় সচিবালয়ে উপদেষ্টার সাথে বৈঠক রয়েছে। আমাদের ১২ জন প্রতিনিধি এতে অংশ নেবেন।
শিক্ষকদের তিন দফা হলো, কনসালটেশন কমিটির সুপারিশের যৌক্তিক সংস্কার করে সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ ধরে ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ। ১০ বছর ও ১৬বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা নিরসন। প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতিসহ দ্রুত পদোন্নতি প্রদান।
এ ছাড়া বর্তমান নিয়মে অনুযায়ী শুক্রবার ও শনিবার বিদ্যালয় বন্ধ রাখা এবং প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় শুধুমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের নিয়ে যেন অনুষ্ঠিত হয় সে দাবিও তারা করেছেন।
তিন দিনের পূর্ণ দিবস কর্মবিরতিতে বেশিরভাগ বিদ্যালয়েই শিক্ষকরা ক্লাসে যাননি। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসলেও খেলাধুলা ছাড়া আর কোনো লেখাপড়া হয়নি।
শিক্ষকদের বলছেন, দ্রুত এই অচলাবস্থা দূর করে শ্রেণিকক্ষে যেতে চান তারা। তবে তার আগে অবশ্য তাদের তিন দফা দাবি মেনে নিতে হবে। দাবি বাস্তবায়নের না হলে কর্মবিরতি চলতে থাকবে।
মন্ত্রণালয়ের ও অধিদপ্তরের সচিব ও ডিজির নির্দেশের কথা বলে অনেক উপজেলায় শিক্ষা অফিসাররা আন্দোলনরত শিক্ষকদের তালিকা চাওয়া হলে উপজেলার সব শিক্ষক কর্মবিরতি পালনে করেছেন বলে লিখিত দিয়েছেন। এমনকি কর্তৃপক্ষের শোকজকেও এখন আর তারা ভয় পাচ্ছেন না।
এর আগে তিন দফা দাবিতে ৫ মে থেকে ১৫ পর্যন্ত ১ঘণ্টা, ১৬ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত ২ঘণ্টা, ২১ মে থেকে ২৫ মে পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত গত ২৬ মে থেকে তারা লাগাতার পূর্ণদিবস কর্ম বিরতি পালন করছেন।
এমআইএইচ/এএটি