ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৩ জুন ২০২৫, ০৬ জিলহজ ১৪৪৬

জাতীয়

উপদেষ্টাদের কাছে স্মারকলিপি দিলেন সচিবালয়ের আন্দোলনরত কর্মচারীরা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:১৫, জুন ১, ২০২৫
উপদেষ্টাদের কাছে স্মারকলিপি দিলেন সচিবালয়ের আন্দোলনরত কর্মচারীরা

ঢাকা: সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ অবিলম্বে বাতিলের দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টাদের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেছেন সচিবালয়ের আন্দোলনরত কর্মচারীরা।
ওই দুই উপদেষ্টা হলেন, খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

 

তারা স্মারকলিপি গ্রহণ করে বিষয়টি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টাসহ উপদেষ্টা পরিষদের আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের জন্য আন্দোলনকারীদের আশ্বাস দিয়েছেন।
রোববার (১ জুন) সকাল ১১টার দিকে সচিবালয়ের কর্মচারীরা সচিবালয়ের বাদামতলা চত্বরে সমবেত হন।  

সচিবালয়ের আন্দোলনরত কর্মচারীরা বিভিন্ন ভবন থেকে ছয় নম্বর ভবনের সামনে বাদামতলা চত্বরে আসেন। সেখানে তারা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।

সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-কে কালো আইন উল্লেখ করে আন্দোলনে চালিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশ সচিবালয়ের কর্মচারীরা। সোমবার (২ জুন) এ সমাবেশ থেকে তারা ঘোষণা দেন।

তারা বলেন, আমরা যখন মাঠে নেমেছি তখন আমরা দাবি আদায় করেই ঘরে ফিরবো। দাবি না মানলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলেও তারা ঘোষণা দেন। এরপর আন্দোলনকারী কর্মচারীরা মিছিল নিয়ে খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে যান। সেখানে তারা সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী এক্য ফোরামের পক্ষ থেকে খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারের কাছে স্মারকলিপি দেন।

এ সময় আলী ইমাম মজুমদার কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা এটা আমাকে দিলেন আমি নিয়েছি। এখন এটা সমাধান করা একক কোন উপদেষ্টার ব্যাপার না, এটা উপদেষ্টা পরিষদের ব্যাপার। এরপরে আমি বাকিটা আশা করব আপনারা আইনকানুন মেনে, সচিবালয়ের দীর্ঘদিনের যে সংস্কৃতির সেই অনুযায়ী চলবেন। সচিবালয়ের কর্মপরিবেশ ব্যাহত করবেন না এই অনুরোধ জানাচ্ছি।  

এরপর আন্দোলনরত কর্মচারীরা মিছিল নিয়ে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় যান। বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা ফাওজুল কবির আন্দোলনকারী কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলার এবং তাদের কথা শোনেন। কর্মচারীরা এ উপদেষ্টার কাছেও স্মারকলিপি পেশ করেন।

এ সময় ফাওজুল কবির বলেন, ‘এখানে (অধ্যাদেশে) কিছু প্রভিশন (ধারা) আছে যেগুলোর অপপ্রয়োগ হওয়ার আশঙ্কা আছে। আমি এটি নিয়ে আলোচনা করব। ’

সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনাদের (কর্মচারী) যে অবস্থান তা হলো এটি বাতিল করে দিতে হবে। এটা একটা অবস্থান। কিন্তু আপনারা একটা জিনিস মনে রাখবেন, আর একটা বিষয় হতে পারে এই অধ্যাদেশটি যে অপপ্রয়োগ হওয়ার সম্ভাবনা আছে, সেগুলোকে অ্যাড্রেস করা যায় কি না। সেটাও আপনারা একটু মাথায় রাখবেন। ’

ফাওজুল কবির বলেন, ‘এটার যে একটা ত্রুটি আছে। সেটা সম্পর্কে কিন্তু আমরা সম্পূর্ণ সচেতন। আমি তো আর কিছু বলতে পারি না, আমি আপনাদের বাতিল করার দাবি উপদেষ্টা পরিষদে জানাবো। আপনারা ভেবে দেখবেন, এই অধ্যাদেশটির রেখে কী কী সেইফ গার্ডস ইন্ট্রোডিউস করলে এটা গ্রহণযোগ্য হবে।  

অফিসে কাজের পরিবেশটা যাতে থাকে সে বিষয়ে কর্মচারীদের নজর দেওয়ার অনুরোধ জানান উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।

এ সময় কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম, কো-মহাসচিব মো. নজরুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতা এবং কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।  

এরপর আন্দোলনরত কর্মচারীরা মিছিল নিয়ে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টার কার্যালয়ে যান স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য। কিন্তু উপদেষ্টা সেখানে না থাকায় তারা ফিরে আসেন।

এসকে/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।