ঢাকা: ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে ভারত থেকে দেশে আনা হয়েছিল তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনকে।
তাকে কঠোর গোপনীয়তার সঙ্গে রাখা হয়েছিল গোয়েন্দা বাহিনীর 'আয়নাঘরে'।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হেফাজতে জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে (জেআইসি) জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানিয়েছেন সুব্রত বাইন নিজেই।
জিজ্ঞাসাবাদে তিনি দাবি করেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি আয়নাঘর থেকে মুক্তি পান। এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়। তবে এতকিছুর পরও তাকে কেন গ্রেপ্তার করা হলো, তা তিনি বুঝতে পারছেন না।
ডিবির একজন কর্মকর্তা জানান, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ২০২৪ সালের নির্বাচনকে ঘিরে ‘বড় একটি গেম’ খেলার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় সেই পরিকল্পনা আর বাস্তবায়ন হয়নি। সুব্রতকে তখন আয়নাঘরে রাখা হয়।
তৎকালীন সরকারের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে ওই কর্মকর্তা বলেন, নির্বাচনের উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে একটি চায়নিজ রেস্টুরেন্টের মালিককে ফোন করতে বলা হয়েছিল সুব্রতকে। ফোনে তাকে বলতে হতো, আমি দেশে ফিরে এসেছি, আমাকে বিএনপি এনেছে, অমুক আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যা করতে হবে।
এরপর সেই বক্তব্যের অডিও-ভিডিও রেকর্ড করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল, যেন পরে তাকে গ্রেপ্তার করে দায় বিএনপির ওপর চাপানো যায়।
গত মঙ্গলবার কুষ্টিয়া শহরে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে সুব্রত বাইনকে গ্রেপ্তার করে। তিনি ছাড়াও আরও তিনজন গ্রেপ্তার হয়েছেন— মোল্লা মাসুদ, আরাফাত ও শরীফ।
পরদিন (বুধবার) হাতিরঝিল থানায় দায়ের করা অস্ত্র আইনের মামলায় সুব্রতকে আট দিনের এবং অন্য তিনজনকে ছয় দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেন আদালত। মামলাটি তদন্তের জন্য ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এমএমআই/আরএইচ