ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৫ জুন ২০২৫, ০৮ জিলহজ ১৪৪৬

জাতীয়

ইসলামী বিপ্লব করে ইতিহাসে পরিণত হয়েছেন ইমাম খোমেইনী

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:৫১, জুন ৩, ২০২৫
ইসলামী বিপ্লব করে ইতিহাসে পরিণত হয়েছেন ইমাম খোমেইনী বক্তব্য রাখছেন ঢাকায় নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভুশি।

ঢাকা: ইরানের ইসলামী বিপ্লবের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম খোমেইনী বিশ্বের সমসাময়িক ইতিহাসে অসামান্য ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি ইরানে ইসলামী বিপ্লব প্রতিষ্ঠা করে ইতিহাস সৃষ্টিকারীতে পরিণত হয়েছেন।

তিনি শুধু একটা সময় নয়, গোটা যুগের চিন্তাধারা পাল্টে দেন।

মঙ্গলবার (৩ জুন)  ইরানের ইসলামী বিপ্লবের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম খোমেইনীর ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকার ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে ‘ইমাম খোমেইনি: ইসলামী দেশ-মুসলমানদের স্বাধীনতা ও মুক্তির রক্ষক’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ বি এম ওবাইদুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভূশি।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহাখালী দারুল উলুম হোসাইনিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ড. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আল মারুফ ও খুলনার ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রের প্রিন্সিপাল হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলেমিন সাইয়্যেদ ইব্রাহিম খলিল রাজাভী।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সেলর সাইয়্যেদ রেযা মীরমোহাম্মাদী।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ইমাম খোমেইনী ছিলেন এক অনবদ্য আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব, দৃঢ় প্রত্যয়ী আরেফ, দার্শনিক, রাজনীতিবিদ, খোদাভীরু চিন্তাবিদ, সাহসী বিপ্লবী ও মানবতার জন্য নিবেদিত পথপ্রদর্শক। ইসলামী দেশগুলো ও মুসলমানদের স্বাধীনতা ও মুক্তির রক্ষক।

তিনি তার প্রতিষ্ঠিত ইসলামী বিপ্লব দুনিয়ার মুসলমানের কাছে, মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে সমগ্র মানবতার কাছে এক নুতন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। ঐতিহাসিক এ বিপ্লবের সাড়ে চার দশকের সাফল্য আজ বিশ্বের সব মুসলিম ও স্বাধীনতাকামী জাতির জন্য একটি রোল মডেল। দশকের পর দশক ধরে চলমান নানা ষড়যন্ত্র ও কঠিন অবরোধের মধ্যেও বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে দ্রুত গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে দেশটি। আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইরান বিস্ময়কর অগ্রগতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিভিন্ন উন্নয়ন সূচকে শক্তিশালী অবস্থান বলে দিচ্ছে দেশটি কতটা অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। শিক্ষা, বিজ্ঞান, উদ্ভাবন, প্রযুক্তিগত উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এখন নেতৃস্থানীয় দেশের তালিকায় রয়েছে ইরান।

টিআর/জেএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।