ঢাকা: পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে টানা ১০ দিনের ছুটি শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার (৫ জুন)। ঈদ উদযাপিত হবে আগামী ৭ জুন।
বুধবার (৪ জুন) ছিল ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস। আগামী ১৫ জুন (রোববার) থেকে আবার অফিস খুলবে।
শেষ কর্মদিবসে সচিবালয়ে ছিল ঈদের আমেজ। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ঈদের প্রস্তুতির ব্যস্ততা ও বিদায়ের ছোঁয়া ছিল স্পষ্ট। উপস্থিতিও ছিল তুলনামূলকভাবে কম। যারা এসেছেন, তারা একে অপরের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় ও বিদায়ী আলাপচারিতায় ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন।
সকাল ১০টায় অফিস শুরুর পর থেকেই অফিসপাড়ায় ঈদের আমেজ শুরু হয়ে যায়। অনেকে হাতের কাজ সেরে দ্রুত অফিস ছাড়ার চেষ্টা করেন। অধিকাংশই রাজধানীর বাইরে নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে ঈদ উদযাপন করবেন বলে দ্রুত বেরিয়ে পড়েন। কেউ কেউ আবার সন্ধ্যায় কিংবা রাতে পরিবার-পরিজন নিয়ে রওনা হবেন বাড়ির পথে। ফলে দুপুর গড়াতেই সচিবালয়ের বিভিন্ন কক্ষ ও করিডোর অনেকটাই ফাঁকা হয়ে যেতে দেখা যায়।
এদিন সচিবালয়ে ছিল সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত ও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক।
দুপুরে সচিবালয়ে আলাপকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, মঙ্গলবার রাতে ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।
এর আগে গত ৬ মে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে টানা ১০ দিনের ছুটির সিদ্ধান্ত হয়। ৭ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১১ ও ১২ জুন (বুধবার ও বৃহস্পতিবার) নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া দাপ্তরিক কাজের স্বার্থে ১৭ মে ও ২৪ মে (শনিবার) অফিস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ছুটিকালীন সময় সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
তবে জরুরি পরিষেবা যেমন-বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরের কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাকসেবা ইত্যাদির সঙ্গে যুক্ত যানবাহন ও কর্মীরা এ ছুটির বাইরে থাকবেন।
এছাড়া হাসপাতাল ও অন্যান্য জরুরি সেবা, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী এবং ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম বহনকারী যানবাহনও এ ছুটির আওতার বাইরে থাকবে।
এসকে/জিসিজি/এসআইএস