ঢাকা, সোমবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২, ২৩ জুন ২০২৫, ২৬ জিলহজ ১৪৪৬

জাতীয়

সাবেক সিইসি নুরুল হুদাকে ধরে পুলিশে দিল বিক্ষুব্ধরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:৫৩, জুন ২২, ২০২৫
সাবেক সিইসি নুরুল হুদাকে ধরে পুলিশে দিল বিক্ষুব্ধরা কে এম নুরুল হুদা। ফাইল ছবি

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকারের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদাকে জুতার মালা পরিয়ে পুলিশে দিয়েছে একদল বিক্ষুব্ধ লোক।

রোববার (২২ জুন) সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর উত্তরায় স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।

উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, সাবেক সিইসি কে এম নুরুল হুদার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. মহিদুল ইসলাম বলেন, উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরের রোড নম্বর ১/এ এলাকার একটা বাড়ি থেকে নুরুল হুদাকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ওনার বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা আছে। তাকে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।  

তিনি আরও জানান, নুরুল হুদার বাসার সামনে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়েছিলেন। খবর পেয়ে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম-কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম বলেন, নুরুল হুদা ডিবির হেফাজতে আছেন।

নুরুল হুদা ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সিইসি ছিলেন। তার নেতৃত্বে থাকা কমিশনের অধীনে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে আগের রাতেই ব্যালট বাক্স ভরে ফেলার অভিযোগ ছিল, যে জন্য সেটি ‘নিশি রাতের ভোট’ হিসেবে আলোচিত।

ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামলে নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগে রোববার দুপুরে ২৪ জনের নামে মামলা করেছে বিএনপি। এতে শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ, সাবেক সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের পাশাপাশি সাবেক সিইসি কে এম নুরুল হুদাকেও আসামি করা হয়েছে।

এই মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন উল্লিখিত সিইসিদের কমিশনের বেশিরভাগ নির্বাচন কমিশনার, সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, সাবেক আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, সাবেক এসবি প্রধান মো. মনিরুল ইসলামও।

শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমাউল হক বলেন, আগে যেসব নির্বাচন কমিশনে কর্মকর্তারা ছিলেন, অভিযোগকারীর দৃষ্টিতে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান থাকা সত্ত্বেও, তারা সে সময় ভয়-ভীতি দেখিয়ে ভোট সম্পন্ন করেন এবং জনগণের ভোট ছাড়া প্রার্থীদের বিজয়ী করেন। সংসদ সদস্যদের বিজয়ী ঘোষণা করা অভিযোগকারীদের দৃষ্টিতে দণ্ডনীয় ছিল, সে সমস্ত অপরাধের ফিরিস্তি নিয়ে ২৪ জনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেছে।

এজেডএস/এমএমআই/এমইউএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।