ঢাকা, শুক্রবার, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২, ০১ আগস্ট ২০২৫, ০৬ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

শান্তি মিশনে মানের দিক থেকে শীর্ষস্থানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী: মার্কিন রাষ্ট্রদূত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:৩২, জুলাই ৩০, ২০২৫
শান্তি মিশনে মানের দিক থেকে শীর্ষস্থানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী: মার্কিন রাষ্ট্রদূত যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন

সিলেট: জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মানের দিক থেকে শীর্ষস্থান অধিকার করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন।

বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে সিলেটের জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্টে ‘কাউন্টার টেররিজম, শান্তিরক্ষা, জঙ্গলে অপারেশন ও বিস্ফোরক’ বিষয়ে বাংলাদেশ ও ইউএস আর্মির যৌথ প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সবসময় জাতিসংঘে শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রেরণে বিশ্বের শীর্ষ ৩ দেশের মধ্যে থাকে। বর্তমানে শান্তিমিশনে কর্মরত রয়েছেন প্রায় ১ হাজার ৮০০ নারী সেনাসদস্য।

রাষ্ট্রদূত বলেন, আমাদের দুই দেশের মধ্যে একটি মহান সম্পর্ক গড়ে উঠছে। একেকজন বাংলাদেশি ও আমেরিকান নাগরিক-হাতে হাত রেখে, হৃদয়ে হৃদয় মিলিয়ে-এই বন্ধন আরও দৃঢ় করছেন।

তিনি আরও বলেন, এই মহড়া বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতিশীল সহযোগিতার একটি প্রতীক, যা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিরাপত্তা, শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জনে দুই দেশের লক্ষ্যকে তুলে ধরে।

জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবদানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সবসময় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর অন্যতম বড় প্রেরণকারী দেশ, এবং মানের দিক থেকে সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে।  

‘টাইগার লাইটনিং’ নামক এই যৌথ মহড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এটি একটি ধারাবাহিক মহড়ার অংশ। বর্তমানে ‘টাইগার শার্ক’ নামে একটি মহড়া চলছে, যেখানে স্পেশাল ফোর্সের সঙ্গে নৌবাহিনী অংশ নিচ্ছে। এ বছরের শেষ দিকে বিমান বাহিনীর সঙ্গে ‘প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল’ মহড়া অনুষ্ঠিত হবে।

এই মহড়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডো ইউনিটের ১০০ জন এবং ইউএস আর্মির অধীনস্থ নেভাদা ন্যাশনাল গার্ডের ৬৬ জন সদস্য অংশ নেন।

সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এ. এস. এম. রিদওয়ানুর রহমান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডো ব্রিগেডের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল হাসান।

পরে ‘অপারেশন টাইগার লাইটনিং’ প্রশিক্ষণের তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।

প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন ইউএস মেজর উইস্টিসেন ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর মাহমুদুল হাসান।

শেষে ফটোসেশন ও ভিজিটরস বইয়ে স্বাক্ষর করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।  

এনইউ/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।