সিলেট: পিঠা-পুলির মাস পৌষ। আর ক’দিন পর হবে মাঘে-মেঘে দেখা।
শীতের পিঠা স্মরণ করিয়ে দেয় গ্রাম বাংলার কথা। আর সেই পিঠা উৎসবে যোগ দিতে শুক্রবার (৯জানুয়ারি) সিলেটের মিরের ময়দান শ্রীহট্ট সংস্কৃত কলেজে ছিল মানুষের উপচেপড়া ভিড়।
১৫ বছর পদার্পন উপলক্ষে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শ্রুতি সিলেটে এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করে।
শতাধিক স্টল উৎসবে অংশ নেয়। এতে ভাঁপা পিঠা , পুলি পিঠা , দুধ পিঠা, চিতল পিঠা, দুধ চিতল, পাটি সাপটা, খির পিঠা, তালের পিঠা, খেজুরী পিঠা, সন্দেশ, চুঙ্গা পিঠাসহ প্রায় তিন শতাধিক ধরণের পিঠা প্রদর্শিত হয়।
সকালে উৎসবের উদ্বোধন করেন সিলেটের জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম ও কুষ্টিয়া লালন একাডেমির সংগীত বিভাগের প্রধান ফকির আব্দুল কুদ্দুস। প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার সাজ্জাদুল হাসান।
বিকেলে উৎসবের দ্বিতীয় পর্বে চিত্রাঙ্কন ও পিঠা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (এসএমপি) কামরুল আহসান।
এছাড়া উৎসবের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন শ্রুতি সম্পাদক সুকান্ত গুপ্ত। সমন্বয়কারী সুমন্ত গুপ্ত ও মুন্নি খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সিসিক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, কবি তুষার কর, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেটের নাজনীন শামীম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, পিঠা উৎসব শুধু পিঠাকে নিয়ে উৎসব নয়, মূলত; এটি প্রকৃতি বন্দনার এক মহোৎসব। আবহমান বাংলার ঐতিহ্য পিঠা-পুলি শহুরে মানুষের কাছে প্রায় বিলুপ্ত হয়ে পড়েছে । এই ঐতিহ্য ধরে রাখা আমাদের সবার প্রয়োজন।
দিনব্যাপী উৎসবে অংশ নেয় শ্রুতি, জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ, গীতবিতান বাংলাদেশ, সংগীত পরিষদ, নৃত্যশৈলী, দ্বৈতস্বর, পাঠশালা, সুরেরভূবন, ছন্দনৃত্যালয়, মৃত্তিকায় মহাকাল, শ্রীনিকেতন, নাট্যম, অমিতাভ ললিতকলা, মুক্তাক্ষর, উর্বশী, রাধারমনের গান অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া আয়োজনের মধ্যে ছিল, প্রভাতি অনুষ্ঠান, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বৈকালিক পর্ব, বাউল মেলা, পিঠা মেলা, গান, নৃত্য পরিবেশন করে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি, ২০১৫