ঢাকা: একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক কিশোরগঞ্জের নিকলির রাজাকার কমান্ডার সৈয়দ মো. হুসাইন ও মোহাম্মদ মোসলেম প্রধানের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করেছেন প্রসিকিউশন। এ অভিযোগ আমলে নেওয়ার বিষয়ে আগামী ২৯ ডিসেম্বর আদেশের দিন ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
বৃহস্পতিবার (০৩ ডিসেম্বর) আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেন প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ। পরে চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ার উল হকের নেতৃত্বে দুই সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ দিন ধার্য করেন।
হুসাইন-মোসলেমের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগে হত্যা-গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, আটক, অপহরণ ও নির্যাতনের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৬২ জনকে হত্যা-গণহত্যা, ১১ জনকে অপহরণ, আটক ও নির্যাতন এবং দুইশ’ ৫০টি বাড়ি-ঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) হরি দেবনাথ গত বছরের ১৩ নভেম্বর থেকে গত ০৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দীর্ঘ নয় মাস ২৫ দিন তাদের অপরাধের তদন্ত শেষ করেন। গত ০৭ অক্টোবর তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ ও পরে প্রসিকিউশনের কাছে হস্তান্তর করেন তদন্ত সংস্থা।
তদন্ত চলাকালে ৬০ জনের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। আর দুই আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবেন ৪০ জন সাক্ষী।
গত ০৭ জুলাই রাজাকার কমান্ডার সৈয়দ মো. হুসাইন (৬৪) ও তার সহযোগী মোহাম্মদ মোসলেম প্রধানের (৬৬) বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল-২। এরপর নিকলি উপজেলার কামারহাটি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে মোসলেমকে গ্রেফতার করা হলেও হুসাইন পলাতক।
এ মামলার প্রধান আসামি পলাতক সৈয়দ মো. হুসাইন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কিশোরগঞ্জের তাড়াইল থানার রাজাকার কমান্ডার পলাতক সৈয়দ মো. হাসান আলী ওরফে হাছেন আলীর ছোট ভাই। হাসান আলীকে গত ০৯ জুন ফাঁসি অথবা ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল-১। তার বিরুদ্ধে আনা ছয়টি মানবতাবিরোধী অভিযোগের মধ্যে পাঁচটিই প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সর্বোচ্চ এ দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৫
এমএইচপি/এএসআর
** আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত টিম মৌলভীবাজারে