ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভাপা পিঠায় শীতের আমেজ

সালাহ উদ্দিন জসিম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৫
ভাপা পিঠায় শীতের আমেজ ছবি: উজ্জ্বল ধর/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: গ্রামগঞ্জে শীত পড়েছে বেশ আগেই। খুব একটা অনুভূত না হলেও মৃদু শীত পড়তে শুরু করেছে নগরীতেও।

আবহাওয়াবিদদের ধারণা, কুয়াশা কেটে গেলেই ভালোভাবে শীত পড়বে।

বৃহস্পতিবারের (০৩ ডিসেম্বর) এক পশলা বৃষ্টি ইতিমধ্যেই ঢাকাবাসীকে শীতের আগমনী বার্তা জানান দিয়েছে।

দুদিনের গুমোট ধরা আকাশ থেকে থেকে ঝরা মেঘে অপ্রস্তুত ঢাকাবাসী সাদরেই গ্রহণ করেছে শীতের আগমনীকে। বৃষ্টির পরের রাত ও সকালে বেশ ভালোই শীত অনুভব করেছেন নগরবাসী।
 
শীতের আগমনে পোশাক আর খাবারে এসেছে পরিবর্তন। সন্ধ্যা ও সকালের নাস্তায় যুক্ত হয়েছে শীতের পিঠা!

গ্রামের মত খেজুরের রস নেই তাতে কি! শীতের হরেক রকমের পিঠা এখন নগরবাসীর হাতের নাগালে। এরমধ্যে ভাপা পিঠাই সবচেয়ে জনপ্রিয়। দিনের শুরুতে বা দিনের শেষে ভাপা পিঠা পাওয়া যায় নগরীর রাস্তায় রাস্তায়। প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে দল বেঁধে পিঠা উৎসবে মজেছেন অনেকেই। দিনের শেষে বন্ধুদের আড্ডায়ও বেশ জায়গা করে নিয়েছে শীতের এই পিঠা।
 
গত কয়েকদিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার অলিতে-গলিতে শীতের পিঠা খাওয়ার এমন আমেজ চোখে পড়ে। বৃহস্পতিবার (০৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের ছোট এক গলিতেই সাতটি পিঠা বিক্রির দোকান দেখা গেছে। এর মধ্যে ছয়টিতেই বিক্রি হচ্ছে ভাপা পিঠ‍া, অন্যটিতে তেলে ভাজা পিঠা।

রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে আসা নেতা-কর্মী, ব্যবসায়ী ও পথচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উৎসাহী হয়ে খাচ্ছে শীতের নতুন পিঠা। বানানোর আগেই ফুরিয়ে যাচ্ছে।
 
ব্যস্ততার ফাঁকে বিক্রেতা মো. নাঈমের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনদিন যাবত শুরু করেছেন ভাপা পিঠা বিক্রি। প্রতিদিন পাঁচ কেজি চালের গুড়ার পিঠা বিক্রি হয় তার। আয় হয়, ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা।

খুবই কম শ্রম ও অর্থ ব্যয় করতে হয় এই ব্যবসায়, জানালেন নাঈম।

নারকেল, খেজুরের গুড় ও চাউলের গুড়া দিয়ে তৈরি করা এই পিঠা পাঁচ টাকা এবং দশ টাকা দামে বিক্রি করেন তিনি।
 
সায়দাবাদের হারুন, শীতের ভাপা পিঠা বিক্রি করেন নারিন্দা বাজারের গলির মাথায়। তিনি জানান, বাজারের দোকানদার, কর্মচারী, পথচারীসহ পুরান ঢাকার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ তার কাস্টমার। সবাই সানন্দে পিঠা খাচ্ছেন, অনেকে আবার পরিবারের জন্য নিয়েও যান।

এভাবে ঢাকার মীরহাজীর বাগ, নারিন্দা, মহানগর নাট্যমঞ্চের সামনে, ওয়ারী, বসুন্ধরা-বারিধারাসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তার পাশে শীতের পিঠা বিক্রির এ চিত্র চোখে পড়ে। শুধু ভাপা পিঠাই নয়, তেলে ভাজা পিঠা, পাটি সাপটা, চিতইসহ নানান ধরনের পিঠাও পাওয়া যাচ্ছে দোকানগুলোতে।

রাস্তার পাশের এসব পিঠার মান নিয়ে প্রশ্ন তুললে সুজন নামে এক ক্রেতা জানান, এখানে তো ভেজালের সুযোগ নেই। নারকেল, গুড় ও চালের গুড়া দিয়ে আমাদের চোখের সামনেই বানাচ্ছে। খালি বিক্রেতা একটু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলেই হলো! প্রতিদিন ফরমালিনসহ কত বিষই তো আমরা খাচ্ছি, এতে আর কি সমস্যা হবে?
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৫
এসইউজে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।