ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রাজধানীতে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৫
রাজধানীতে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণের দাবি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: রাজধানীতে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ করে আধুনিক গণপরিবহন এবং ট্যাক্সি ক্যাব ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ নামের একটি সংগঠন।

শনিবার (০৫ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।



মানববন্ধন থেকে বলা হয়, রাজধানীর মানুষ দুঃসহ যানজট ও ভাড়া বিড়ম্বনায় দিশেহারা। যানজটে মানুষের কোটি কোটি শ্রমঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। দূষণ, দুর্ঘটনা, জ্বালানি অপচয় ও কর্মঘণ্টা নষ্টের ফলে বছরে ক্ষতি হচ্ছে ১ লাখ কোটি টাকা। এই যানজটের শীর্ষ কারণ লাগামহীন প্রাইভেটকারের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং প্রয়োজনের তুলনায় গণপরিবহন ও সড়কের স্বল্পতা।

বক্তারা বলেন, রাজধানীতে প্রতিদিন নামছে ৩১৭টি যন্ত্রচালিত যানবাহন। রাজধানীতে প্রাইভেটকার আছে দুই লাখ ২০ হাজারের উপরে। এর বিপরীতে ট্যাক্সি ক্যাবের সংখ্যা এক হাজারের মতো। আর সিএনজি চালিত অটোরিকশা আছে ১০ হাজার। অথচ বর্তমান বিশ্বে শহরে যাতায়াতের ক্ষেত্র প্রধান মাধ্যম গণপরিবহন তথা বড় বাস ও ট্যাক্সি ক্যাব।

প্রাইভেটকারে গ্যাস দেওয়া বন্ধ করার দাবি জানিয়ে বলা হয়, একটি ট্যাক্সি ক্যাব ও একটি বড় বাসে কর্মকালীন সময়ে দিনে যে পরিমাণ যাত্রী বহন করতে পারে, সেই পরিমাণ যাত্রী বহন করতে ৩৫০ থেকে ৪'শ প্রাইভেটকার প্রয়োজন। তাই অবিলম্বে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ করে পর্যাপ্ত সংখ্যক আরামপ্রদ বড় বাস নামাতে হবে।

একই সঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সচিবালয়সহ সরকারি এবং বেসরকারি অফিসে প্রাইভেটকারের পরিবর্তে উন্নত গণপরিবহনের ( বড় বাস, মিনি বাস, মাইক্রোবাস) ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি রাজধানীতে জেলা ও মফস্বল শহর থেকে প্রাইভেটকার প্রবেশ করলে 'রাজধানী কর' ধার্য করারও দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের মহাসচিব তুষার রেহমান, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আরিফুল প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৫
এএসএস/এমআইএইচ/আইএ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।