ঢাকা: গুলিস্তান থেকে হকার উচ্ছেদের আগে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এজন্য রোববার (০৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে সরেজমিনে হকারদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করবে ১৩ সদস্যের সংশ্লিষ্ট কমিটি।
গত ১২ নভেম্বর হকার নেতাদের সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠক করেন ডিএসসিসি মেয়র। ওই বৈঠকে তিনি গুলিস্তানকে হকারমুক্ত করার ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে হকারদের তালিকা করে তাদের পুনর্বাসনেরও কথা বলেন।
এ বিষয়ে রিপোর্ট দিতে ডিএসসিসি’র প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা খালিদ আহমদকে আহ্বায়ক করে ১৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেন মেয়র। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ারও নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সিটি করপোরেশন সূত্র নিশ্চিত করেছে, ১৬ সদস্যের ওই কমিটি রিপোর্ট দিতে সময় চেয়েছে। একইসঙ্গে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে হকারদের তালিকা করতে ডিএসসিসি’র প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা খালিদ আহমদকে আহ্বায়ক করে ১৩ সদস্যের আরও একটি কমিটি করেছে। ওই কমিটির অন্য সদস্য হলেন- র্যাব প্রতিনিধি, পুলিশ প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর, ডিএসসিসির ম্যাজিস্ট্রেট ও হকার্স নেতারা।
স্পটে থেকে (মাঠ পর্যায়ে) হকারদের তালিকা করতে ১৩ সদস্যের ওই কমিটি রোববার থেকে কাজ করবে বলে বাংলানিউজকে জানান ডিএসসিসি’র প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা খালিদ আহমদ ও বাংলাদেশ হকার্স ফেডারেশনের সভাপতি এম এ কাশেম।
এম এ কাশেম বলেন, হকারদের সংখ্যা তিন হাজার দুইশ’ বা তিন হাজার পাঁচশ’ হতে পারে বলে জানিয়েছেন মেয়র। আমাদের হিসাব অনুযায়ী চার হাজার। এখন স্পট থেকেই তালিকা হবে, এতে যারা প্রকৃত হকার তারাই প্রাধান্য পাবে।
ডিএসসিসির একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, তালিকাভুক্ত হকারদের জন্য ওসমানী উদ্যানের পূর্ব পাশ ও মুক্তাঙ্গন অথবা নাট্যমঞ্চের সামনের খালি জায়গা বরাদ্দ দেওয়ার চিন্তা করছে কর্তৃপক্ষ।
সূত্র জানায়, বরাদ্দ করা জায়গায় হকারদের মার্কেট করে দেওয়া হবে। এ মার্কেটে প্রত্যেকটি দোকানের সাইজ হবে ৪ বর্গফুট। মার্কেটের মাঝখানে আবার চার ফুটের মতো করিডোর থাকবে। এসব দোকানের জন্য সিটি করপোরেশনকে নির্দিষ্ট পরিমাণে রাজস্ব দিতে হবে হকারদের।
যানজট নিরসনে গুলিস্তান হকারমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন। এজন্য শুধু উচ্ছেদ নয়, হকারদের পুনর্বাসনেরও ঘোষণা দেন তিনি।
** পুনর্বাসিত হচ্ছে ৪ হাজার হকার
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৫
এসইউজে/এএ