ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় অধিকতর তদন্ত চেয়ে নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটির করা আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী বুধবার (০৯ ডিসেম্বর) আদেশের দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
রোববার (০৬ ডিসেম্বর) শুনানি শেষে আদেশের এ দিন ধার্য করেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
গত মঙ্গলবার (০১ ডিসেম্বর) বিকেলে আংশিক শুনানির পর রোববার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন আদালত।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মন্টু ঘোষ।
আবদুল বাসেত মজুমদার শুনানিতে বলেন, মামলার বাদী এজাহারে ৩৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছিলেন। কিন্তু তদন্ত শেষে পুলিশের দাখিল করা অভিযোগপত্রে দেখা গেল, এজাহারভুক্ত ৫ আসামিকে তাতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
মামলার বাদী যদি এজাহারে কারও নাম বলেন, সাধারণত অভিযোগপত্রে তার নাম থাকাটা উচিত। কিন্তু পুলিশ যে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে সেখানে কারও নাম রয়েছে, আবার কারো নাম বাদ দিয়েছে। এতে বাদীর ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি বলেন, এই সাত খুনের ঘটনার মূল হোতা নূর হোসেন মামলার তদন্তকালে দেশে ছিলেন না। সরকার তাকে ফিরিয়ে এনেছে। এখন রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে নতুন তথ্য পাওয়া যেতে পারে।
গত বছরের ২৭ এপ্রিল দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহরণ করা হয়।
এরপর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের এবং ১ মে আরেকজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পৃথক দু’টি মামলা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৫
ইএস/এএসআর