ঢাকা: একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি নাগরিকদের একটি অংশ বর্বরতা ও নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সাউথ এশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটসের (এসএইচআর) চেয়ারপার্সন এবং পাকিস্তানের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ হিনা জিলানি।
রোববার (০৬ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাংলাদেশে দক্ষিণ এশিয় শান্তি মিশন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
হিনা জিলানি বলেন, পাকিস্তানের নাগরিকদের একটি অংশ নির্যাতন ও বর্বরতার ঘৃণা জানিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির সংগ্রামে পাকিস্তানের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস জুগিয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ সমস্যা তুলে ধরে তিনি বলেন, এসব দেশগুলোতে বহুমাত্রিকতাকে অস্বীকার করার কারণে যে বিভাজন তৈরি হচ্ছে তার কারণে জনগণের স্বার্থ অনেক ক্ষেত্রেই দেখা হচ্ছে না। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের উত্থান এসব দেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মোকাবেলায় একসঙ্গে সবার কাজ করার ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।
এসএইচআর বাংলাদেশের ব্যুরো সদস্য ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের নাজিশ আতাউল্লাহ, মালদ্বীপের মোহাম্মদ লতিফ ও আমিনা জামিল, শ্রীলংকার সিতারা শিরীন, আনুশাহ কল্যুর ও দীক্ষা ইলাংগাসিঙ্গে, নেপালের ধর্মিতা মিজার, বাংলাদেশের সাদেকা হালিম ও আসিফ নজরুল।
লিখিত বক্তব্যে সুলতানা কামাল বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় সংঘাতময় পরিস্থিতি নারী ও অন্যান্য প্রান্তিক গোষ্ঠীর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। দেশগুলোতে মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। বেড়ে চলেছে উগ্রবাদ বা চরমপন্থা, অসহিষ্ণুতা।
তিনি বলেন, শান্তি, নিরাপত্তা, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য আমাদের যে প্রত্যাশা সে ক্ষেত্রে আশানুরূপ কিছু হয়নি।
বাংলাদেশের এ মানবাধিকার কর্মী এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, আমাদের অনেক অগ্রগতি আছে। কিন্তু আমরা যা চেয়েছি তার কিছুই মানসম্মত অবস্থায় পাইনি। এজন্য আমাদের অনেক দূর যেতে হবে।
সাউথ এশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটসের(এসএএইচআর) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী আই কে গুজরাল। দক্ষিণ এশিয়ার সমমনা মানবাধিকারকর্মী, পেশাদার ব্যক্তি, বিশেষজ্ঞ এবং প্রতিষ্ঠান এসএএইচআরের সদস্য। তারা জাতীয় ও আঞ্চলিক উভয় পর্যায়ে মানবাধিকার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়কে তুলে ধরতে কাজ করেন।
শনিবার (০৫ ডিসেম্বর) দু’দিনের শান্তি মিশনে আসেন এসএএইচআরের সদস্যরা। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার সুশীল সমাজের মধ্যে আঞ্চলিক শান্তি ও সংহতির বার্তা নিয়েই এ মিশন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘন্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০১৫
এডিএ/এএসআর