ঢাকা: দেশের একটি শিশুও শিক্ষা থেকে বঞ্চিত থাকবে না, সরকার এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি।
রোববার (০৬ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলশানে স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টারে বাংলাদেশ ইসিডি নেটওয়ার্ক (বেন) আয়োজিত জাতীয় ইসিডি (আরলি চাইল্ড হুড ডেভেলেপমেন্ট) কনফারেন্সে ২০১৫ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের সকল শিশুকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়তে পারলে আমরা ২০৪১ সালে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারবো। বাংলাদেশে পাঁচ বছরের নিচে শিশু মৃত্যু হাজারে ৪১ জন এবং ইনফেন্টমরটালিটি হাজারে ৩২ জনে নামিয়ে এনেছে।
মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, শিশুর শারীরিক ও বুদ্ধিবৃত্তি বিকাশে জিরো থেকে ৮ বছর সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে শিশুর ৭০ শতাংশ বিকাশ সাধিত হয়। শিশুর এই বিশেষ সময়কে গুরুত্ব দিয়ে সরকার ইসিডি প্রণয়ন করেছে। জাতিসংঘের এসডিডি-তে ইসিডিকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। সরকার শিশুর জন্য উপযুক্ত একটি বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে। সরকার শিশু নীতি ও শিশু আইন প্রণয়ন করেছে। প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু করেছে।
ক্যাম্পেইন ফর পপুলার এডুকেশন-এর নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- বেনের চেয়ারম্যান ড. মঞ্জুর আহমেদ, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বিকাশ কিশোর দাস, ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ লুইস মনো প্রমুখ।
লুইস মনো বলেন, বাংলাদেশ এমজিডি-তে নারী ও শিশু সম্পর্কিত সূচক গুলোতে সফল হয়েছিল যার জন্যে বাংলাদেশ জাতিসংঘ এমডিজি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। আশা করছি বাংলাদেশ এসডিজি (সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল) অর্জনেও সফল হবে। তিনি আরো বলেন, অর্থ বরাদ্দের চাইতে অর্থের যথাযথ ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি শিশুর ডেভেলপমেন্টে অর্থের যথাযথ ব্যবহার ও স্বচ্ছতার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। অনুষ্ঠানে রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ৬ষ্ঠ শ্রেণির একজন ছাত্রের অসংখ্য বই যা সঙ্গতিপূর্ণ নয়। বইয়ের বোঝা কমাতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৫
এমএন/বিএস