মাগুরা: মাগুরার মহম্মপুর উপজেলার তল্লাবাড়িয়া গ্রামে অঞ্জনা নামে (১১) এক শিশু কন্যাকে মেহেদী হাসান (১৭) নামে এক কিশোরের সঙ্গে জোর করে বাল্যবিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
খবর পেয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান গোলাম আজম সাবু বিয়ে বাড়িতে গিয়ে এ বিয়ে ভেঙে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
মেহেদীর বাবা আরিফ মোল্যা বাংলানিউজকে জানান, মহম্মদপুরের বিনোদপুর ইউনিয়নের তল্লাবাড়িয়া গ্রামে তার প্রতিবেশী আয়ুব ফকিরের পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে অঞ্জনার সঙ্গে তার ছেলে (এসএসসি পরিক্ষার্থী) মেহেদীর বিয়ের জন্য বেশ কিছুদিন ধরে ওই পরিবারের লোকজন চাপ দিয়ে আসছিলেন। শনিবার দুপুরে আয়ুব ফকিরের বাড়ির লোকজন পিঠা খাওয়ার কথা বলে তার ছেলে মেহেদীকে ডেকে নিয়ে আটকে রাখেন।
রোববার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে তাদের না জানিয়ে মেহেদীর সঙ্গে অঞ্জনার বিয়ের আয়োজন করেছেন বলে তিনি জানতে পারেন। এ খবর পেয়ে তিনি সে বাড়িতে গেলে অঞ্জনার পরিবারের লোকজন তাকে হুমকি ধমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন। উপায়ন্ত না দেখে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) স্মরণাপন্ন হন।
মহম্মদপুরের ইউএনও মো. শাহিন হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ঘটনাটি তিনি শুনে স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বাল্য বিয়ে বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
বিনোদপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম আজম সাবু বাংলানিউজকে বলেন, বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে মেয়ের অভিভাবকদের অনুরোধ করতে স্থানীয় একজন চৌকিদারকে পাঠানো হয়েছে। নিষেধ না শুনলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর পরেও বিয়ের আয়োজন বন্ধ না হওয়ায় বিকেলে ইউপি চেয়ারম্যান নিজে ওই বাড়িতে উপস্থিত হয়ে এ বিয়ে ভেঙে দেন এবং মেহেদিকে উদ্ধার করে তার বাবার কাছে পৌঁছে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৫
আরএ