ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘অসম্মান’ জানাতে নয়, চিহ্নিত করতেই নারী প্রতীক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০১৫
‘অসম্মান’ জানাতে নয়, চিহ্নিত করতেই নারী প্রতীক নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ

ঢাকা: নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ বলেছেন, পৌরসভা নির্বাচনের সংরক্ষিত আসনের নারী প্রতীকগুলো কাউকে ‘অসম্মান’ জানাতে সংরক্ষণ করা হয়নি। এগুলো করা হয়েছে প্রার্থীকে চিহ্নিত করতে।



সংরক্ষিত নারী আসনের প্রতীক হিসেবে ফ্রক, চুড়ি, পুতুল, কাঁচিসহ ১০টি মেয়েলি ও গৃহস্থালি প্রতীক সংরক্ষণ করে ইসি। সম্প্রতি এ নিয়ে বাংলানিউজসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে নারী নেত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে শাহ নেওয়াজ বলেন, আমরা স্থানীয় সরকার পৌরসভা নির্বাচনের আইন পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই বিধিমালাও পরিবর্তন করেছি। তাই বিধিমালা পরিবর্তনে সময় প্রতীক নিয়ে আলোচনার জন্য খুব সময় পাইনি। যে কারণে ওই প্রতীকগুলোই তাড়াহুড়ো করে দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (০৭ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
 
শাহ নেওয়াজ বলেন, নারী প্রার্থীদের প্রতীকগুলো দেওয়া হয়েছে চিহ্নিত করার জন্য, অসম্মান জানাতে বা আঘাত করার জন্য নয়। এ নিয়ে কেউ অভিযোগ দিলে ওগুলো বাদ দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করবো। কেউ অস্বস্তি বোধ করলে তা বাদ দিতে বিবেচনা করবো।

রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে প্রশাসনের কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের জনবল কম। যারা আছেন তাদের অনেকেই সিনিয়র নন। আবার ৮৫ জন কর্মকর্তা মামলার কারণে দায়িত্বে নেই। কাজেই ইচ্ছে থাকার পরও রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে সব পৌরসভায় নিজেদের কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া যায়নি। তবুও ৬১ জনকে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। ভবিষ্যতে আমাদের জনবল বাড়লে বা কর্মকর্তা সিনিয়র হলে তখন সবক্ষেত্রে নিজস্ব কর্মকর্তাকেই রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে।
 
তিনি আরও বলেন, আগে সব পৌরসভাতেই প্রশাসনের লোকবল দিয়ে নির্বাচন করা হয়েছে। তখনও নির্বাচন সুন্দর ও সুষ্ঠু হয়েছে। এবারই প্রথম পৌরসভা নির্বাচনে আমাদের এতোজন কর্মকর্তা নিয়োগ করেছি। তাই এবারও নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হবে।
 
শাহ নেওয়াজ বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার কোনো সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কারো কোনো অভিযোগ থাকলে আপিল করা যাবে। প্রার্থী যদি সঠিক হন তবে আপিলে তিনি সুবিচার পাবেন।
 
প্রচারণা বিষয়ে বলেন, দলের মেয়র প্রার্থীরা আগামী ৯ ডিসেম্বর থেকেই প্রচারণা চালাতে পারবেন। স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী এবং কাউন্সিলরদের প্রতীকের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। কেননা, তাদের প্রতীক বরাদ্দ হবে আগামী ১৪ ডিসেম্বর। এজন্য তাদের বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে বলে মনে করি না।
 
আগামী ৩০ ডিসেম্বর দেশের ২৩৪ পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে মেয়র পদে ৯৬১, কাউন্সিলর পদে ৯ হাজার ১৬৯ এবং সংরক্ষিত পদে ২ হাজার ৫১২ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। এবারই প্রথম মেয়র পদে দলীয়ভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৫
ইইউডি/আইএ

** ফ্রক, পুতুল, চুড়িও নারী প্রার্থীদের প্রতীক!
** গোপন চাঁদা বন্ধ করতে ৪ মন্ত্রণালয়ে ইসির নির্দেশনা
** প্রার্থী যেই হোক তার পক্ষেই অবস্থান নেবে ইসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।