বরগুনা: পারিবারিক কলহের জের ধরে বরগুনার তালতলীতে দা দিয়ে কুপিয়ে তানিয়া আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধূকে হত্যা করেছে দেবর হাবিবুল্লাহ খান (২০)।
সোমবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে বরগুনার তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের ইদুপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তানিয়া আক্তার ইদুপাড়া গ্রামের দুলাল খানের স্ত্রী। অভিযুক্ত হাবিবুল্লাহ খান পটুয়াখালী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।
স্থানীয়রা জানায়, দুলাল খান ও হাবিবুল্লাহ খান তাদের মায়ের সঙ্গে একই বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। দু’দিন আগে বাড়ি এসে হাবিবুল্লাহ খান তার মাকে নিয়ে আলাদাভাবে বসবাসের দাবি জানান।
এ সময় দুলাল ছোট ভাইকে জানিয়ে দেয়, তার পক্ষে দুই পরিবারকে অর্থ দেওয়া সম্ভব নয়। আলাদাভাবে বসবাস করতে হলে তাদের আয় করে চলতে হবে। পরে, দুলাল খান দুই সন্তানসহ স্ত্রী তানিয়াকে রেখে শনিবার বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যান।
সোমবার দুপুরে তানিয়ার সঙ্গে দেবর হাবিবুল্লাহ খানের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হাবিবুল্লাহ দা দিয়ে তানিয়ার গলায় ও বুকে কোপ দেয়।
এ সময় তানিয়ার চিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে আসে। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। সেখানে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল আখতার বাংলানিউজকে বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত দেবর ও তার শাশুড়ি কুলসুম বেগম পলাতক রয়েছেন। তাদের আটক করতে অভিযান চলছে বলে জানান ওসি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০১৫
এমজেড