ঢাকা: ফৌজদারি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আদালতের নির্ধারিত তারিখে সাক্ষীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে অবিলম্বে সাক্ষী সুরক্ষা আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (০৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ আইন সচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবের প্রতি এ নির্দেশ জারি করেন।
আইনে সমন পাওয়ার পর নির্ধারিত তারিকে সাক্ষী উপস্থিত না হলে সংশ্লিষ্ট পিপি ও পুলিশ কর্মকর্তাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার বিধান যুক্ত করতে হবে বলে নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট।
২০০০ সালের ১৪ জুন রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে রিংকু নামের এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় হীরা ওরফে হারুন নামের এক ব্যক্তিকে একই বছরের ১০ জুলাই গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ-৩য় আদালতে ২০১২ সালের ৫ জুন অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর প্রায় ৮ থেকে ১০ বার সাক্ষী সমন করা হয়। কিন্তু সাক্ষীরা হাজির হননি।
এর মধ্যে আসামিপক্ষ জামিনের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেন। এ আবেদনের পর হাইকোর্ট সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পিপিকে তলব করেন। এ আদেশ অনুসারে অতিরিক্ত পিপি আসাদুজ্জামান সোমবার হাইকোর্টে হাজির হয়ে বলেন, আসামি খুব ভয়ঙ্কর। তার ভয়ে কেউ সাক্ষী দিতে আসেন না।
পরে হাইকোর্ট আসামির জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়ে সাক্ষী সুরক্ষা আইন প্রণয়নে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে সরকারের দুই সচিবকে নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৫
ইএস/এএসআর