ঢাকা: সাংবাদিক ও ছড়াকার সৈয়দ নাজাত হোসেনের মরদেহ মঙ্গলবার (০৮ ডিসেম্বর) দুপুরে তার নিজ গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে দাফন করা হবে।
তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্থানীয় ‘দৈনিক নবাব’ পত্রিকার সম্পাদক ও মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এর আগে সোমবার (০৭ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা ৫ মিনিটে রাজধানীর সোবহানবাগের ফারাবি জেনারেল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। দীর্ঘদিন থেকে দুরারোগ্য ব্যাধি লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত ছিলেন তিনি ।
ঢাকাস্থ চাপাইনবাবগঞ্জ সাংবাদিক সমিতির সদস্য ও মানবকণ্ঠের সাংবাদিক তাসকিনা ইয়াসমিন এমি বাংলানিউজকে এসব তথ্য জানান।
তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে নাজাত হোসেনের প্রথম জানাজা ও সকাল ১১টায় ঈদগাহ মাঠে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর ১২টায় ফকিরপাড়া গোরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
তার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, এই সাংবাদিক শেষকালে প্রায় বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছিলেন। এ সময় তার পাশে এসে দাঁড়ান এরিস্টোফার্মার জেনারেল ম্যানেজার মাসুম ওয়াদুদ।
ছড়াকার ও সাংবাদিক সৈয়দ নাজাত হোসেন দীর্ঘদিন সম্পাদনা করেছেন চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে প্রকাশিত ‘সাপ্তাহিক নবাবগঞ্জ বার্তা’ ও ‘দৈনিক নবাব’ পত্রিকা।
এছাড়া, ইলেকট্রনিক মিডিয়া চ্যানেল আই‘য়ে দীর্ঘ ১২ বছর এবং মাছরাঙ্গা টিভিতে দু’বছর চাপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভুক্ত নাট্যকার ও গীতিকার হিসেবে তিন দশকের বেশি সময় ধরে গান ও নাটক রচনা করে করেন। তার রচিত শতাধিক নাটক বাংলাদেশ বেতারে ও ১৭টি সাপ্তাহিক নাটক বিটিভিতে প্রচারিত হয়েছে।
ছড়াকার হিসাবে দেশের শীর্ষ স্থানীয় সব পত্রিকায় তার ছড়া প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন প্রকাশনী থেকে তার বেশ কিছু ছড়াগ্রন্থও প্রকাশিত হয়।
বাংলা একাডেমির ‘এম নুরুল কাদের সাহিত্য পুরষ্কার ২০১৪’র জন্য পাঁচজন নির্বাচিত হন। যাদের একজন সৈয়দ নাজাত হোসেন।
নাজাত হোসেনের মৃত্যুকালে স্ত্রী শাহিনা নাজাত মেরি, চার ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। স্বজনরা তার আত্নার শান্তি কামনা করেন।
** সাংবাদিক নাজাত হোসেন আর নেই
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৫
এসএমএ/আরএইচএস/টিআই