ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পাতাল রেল প্রকল্পের অনুমোদন চায় কনটেক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১৫
পাতাল রেল প্রকল্পের অনুমোদন চায় কনটেক (ফাইল ফটো)

ঢাকা: রাজধানীর যানজট নিরসনে জাইকার দেওয়া মেট্রোরেল নকশার সঙ্গে মিল রেখে কনটেক লিমিটেডের পাতাল রেল স্থাপনের নকশার অনুমোদন চেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

মঙ্গলবার (০৮ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ আহ্বান জানান প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাসুদ রেজা।



সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, ২০০২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়ে ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয় বেসরকারি উদ্যোগে ঢাকায় পাতাল রেল স্থাপনের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে। এসময় এগারোটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কনটেক লিমিটেড সর্বনিম্ন দরদাতা বিবেচিত হয়।

ওই সময় পাতাল রেল স্থাপনের জন্য ছয় রুটে ৫২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর ফলে ঢাকা শহরের প্রায় ৮০ ভাগ লোক এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে সহজেই যাতায়াত করতে পারতো বলে ধারণা করা হয়।

বর্তমানে জাইকার যে এমআরটি-৪ ও এমআরটি- ১ নামকরণ করা হয়েছে সেটি পাতাল রেলের নেটওয়ার্কিং অংশবিশেষ বলে দাবি করেন মাসুদ রেজা। একই সঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, দেশীয় উদ্যোক্তারাই যেন এ প্রকল্পের পৃষ্ঠপোষকতার দায়িত্ব পায়।

তিনি জানান, যেকোনো মেগাসিটিতে আন্ডারগ্রাউন্ড, সারফেস (১০০ ফুট নিচে)  ও এলিভেটেড (রাস্তার উপরে) এই তিনটি জায়গাই ব্যবহার হয়ে থাকে। মেগাসিটিতে রাস্তা থাকতে হবে ২৫ থেকে ৩০ ভাগ। অথচ ঢাকায় রয়েছে মাত্র ৭ থেকে ৮ ভাগ।

মাসুদ রেজা বলেন, যদি রাস্তার উপরে মেট্রোরেল করা হয় তাহলে ভবিষ্যতে সম্প্রসারণে অসুবিধা হবে। তবে এক তলা নিচ দিয়ে পাতাল রেল করা হলে তা ভবিষ্যতে চাহিদা অনুযায়ী সম্প্রসারণ করা যাবে।
 
তিনি বলেন, বর্তমানে ঢাকা শহরে প্রাইভেট গাড়ির মাধ্যমে ঘণ্টায় ৫শ’ যাত্রী যাতায়াত করেন। আর গণপরিবহনে ৫ হাজার যাত্রী। তবে পাতাল রেলের মাধ্যমে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন।  

এ প্রকৌশলী বলেন, যদি উদ্যোক্তারাই প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব পান তাহলে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের ন্যায় দেশীয় প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন কনটেক লিমিটেডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হুজাইফা ও নির্বাহী প্রকল্প অফিসার সৈয়দা দিলরুবা আফরোজ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৫
এফবি/এসই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।