ঢাকা: জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পাওয়া ১০টি প্রকল্পই জাতীয় পর্যায়ের, নির্দিষ্ট কোনো পৌরসভার জন্য নয়। এ কারণে এসব প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, আইন ও বিধি অনুযায়ী সুষ্ঠু নির্বাচন হোক এটা আমরা দেখতে চাই। সব কিছু মেনে নির্বাচনও চলবে, উন্নয়নও চলবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
নির্দিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় অনুমোদন পাওয়া প্রকল্প প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
মঙ্গলবার (০৮ ডিসেম্বর) একনেক সভাশেষে শেরে বাংলানগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন তিনি।
মুস্তফা কামাল বলেন, পশ্চিমাঞ্চলে গ্রিড নেটওয়ার্ক উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, এটা তো আর কোনো নির্দিষ্ট পৌরসভায় পড়ে না। নির্বাচনের জন্য তো আর উন্নয়ন থেমে থাকতে পারে না। আইন ও বিধি মেনে নির্বাচন ও উন্নয়ন একসঙ্গে চলবে। সারা দেশে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হবে তখন কি উন্নয়ন থেমে থাকবে? নির্বাচন তো সারা বছর ধরে চলে তাই বলে কি উন্নয়ন হবে না?
‘প্রথমে আমরা ১০টি প্রকল্পের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি এর পরে একনেক সভায় সবার মতামতের ভিত্তিতে প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দিয়েছি। নির্বাচনও একটি প্রকল্প এটা তো সারা বছর ধরেই হবে। আইন ও বিধি মেনেই ১০টি প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে’- যোগ করেন মন্ত্রী।
তবে নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন অনুসারে, তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন-পূর্ব সময়ে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার সরকারি, আধাসরকারি বা স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের রাজস্ব বা উন্নয়ন তহবিলভুক্ত কোনো প্রকল্পের অনুমোদন, ঘোষণা বা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন বা ফলক উন্মোচন করা যাবে না। এ সময়ে সরকারি-বেসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে কোনো প্রকার অনুদান ঘোষণা বা বরাদ্দ বা অর্থ অবমুক্তও করা যাবে না।
উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে অনুমোদন পাওয়া পশ্চিমাঞ্চলীয় গ্রিড নেটওয়ার্ক উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প যেসব এলাকায় বাস্তবায়িত হবে তার প্রায় সব জেলা-উপজেলাতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৫
এমআইএস/এমজেএফ/