রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ): নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার শীতলক্ষ্যা নদী তীরের কৃষকদের জমি থেকে মাটি লুট করাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
মঙ্গলবার (০৮ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের খৈসাইর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে জহিরুল ইসলাম, রুবেল মিয়া, আলম হোসেন, ফারুক মিয়া, কুদ্দুস মিয়া, এমরান হোসেন, সোহেল মিয়া, আরিফ মিয়া, বিল্লাল হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন, হাফিজুল ইসলাম, নাদিম মিয়া, আমির হোসেন, রুবেল মিয়াকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, খৈসাইর এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে কৃষকদের জমি থেকে প্রায়ই জোর করে মাটি কেটে নিয়ে যান একদল সন্ত্রাসী। এ কারণে স্থানীয় জহিরুল ইসলাম নামে এক মাটি ব্যবসায়ীর কাছে বেশ কয়েকজন কৃষক তাদের জমির মাটি বিক্রি করে দেন।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে পার্শ্ববর্তী নরসিংদী জেলার পলাশ থানার ডাঙ্গা এলাকার সন্ত্রাসী হাফিজুল ইসলাম, নাদিম মিয়া, আমির হোসেন ও রুবেল মিয়াসহ তাদের লোকজন ট্রলারে করে খৈসাইর এলাকার কৃষকদের জমি থেকে ফের মাটি লুট করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় মাটি ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলামসহ তার লোকজন ওই সন্ত্রাসীদের বাধা দেন।
এ নিয়ে প্রথমে দু’পক্ষের মাঝে বাকবিতণ্ডা ও পরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন।
এদিকে, ঘটনার পর থেকে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো সময় আবারো সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
জমির মালিকরা জানান, প্রায় সময়ই ওই সন্ত্রাসীরা তাদের জমি থেকে জোর করে মাটি কেটে নিয়ে যেতেন। প্রতিবাদ করলে হামলার শিকার হতে হতো তাদের। এছাড়া সন্ত্রাসীরা ড্রেজারের মাধ্যমে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে বালুও উত্তোলন করতেন। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বালু উত্তোলন বন্ধ থাকলেও জমি থেকে জোরপূর্বক মাটি লুট করা বন্ধ হয়নি।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের ঘটনা আমার জানা নেই। যেহেতু জেনেছি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৫
আরএ