ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি): দেশের মানুষ সার্বভৌম হলেই সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত হয় বলে মন্তব্য করেছেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল।
মঙ্গলবার (০৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাবি লেকচার থিয়েটার ভবনের সিরাজুল ইসলাম মিলনায়তনে আয়োজিত জেনারেল এম এ জি ওসমানী মেমোরিয়াল লেকচারে বক্তৃতাকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘বর্তমানের দর্পণে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতিফলন: নাগরিক চেতনা’ শীর্ষক মেমোরিয়াল লেকাচারের আয়োজন করে ঢাবির ইতিহাস বিভাগ ও এম এ জি ওসমানী স্কলারশিপ ফান্ড।
সুলতানা কামাল বলেন, একের সঙ্গে অপরের সচেতনতা মিলে তৈরি হয় গণসচেতনতার। তখনই ঘটে সম্মিলিত শক্তির উত্থান। সেই সম্মিলিত শক্তি জন্ম দেয় স্বাধীন-সার্বভৌম সামাজিক সক্রিয়তা।
‘দেশের মানুষ যখন সার্বভৌম হয়, তখনই নিশ্চিত হয় দেশের সার্বভৌমত্ব। ’ সার্বিক সার্বভৌমত্ব অর্জন করতে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারণ করার বিকল্প নেই বলেও মত দেন তিনি।
আসক-এর নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল বলেন, সচেতন নাগরিক সেই যে ইতিহাস সচেতন হয়ে তার ধারায় বর্তমানকে প্রতিষ্ঠা করে ভবিষ্যৎ নির্মাণের নির্দেশনা দিতে পারেন। যিনি ঐতিহ্যকে ধারণ করে ভবিষ্যতের স্বরূপ আঁকতে পারেন ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, এ প্রজন্মকে শুধুমাত্র একাডেমিক সাফল্য নয়, ইতিহাস ঐতিহ্যের ধারক-বাহক হয়ে তার সঙ্গে সত্যের শক্তিতে বলীয়ান হতে হবে; নৈতিক শক্তি ও সত্য প্রতিষ্ঠার সাধনাও করতে হবে।
এর আগে ইতিহাস বিভাগের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য ১৯ শিক্ষার্থীকে বঙ্গবীর এম এ জি ওসমানী বৃত্তি, আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম বৃত্তি এবং ইতিহাস বিভাগ বৃত্তি দেওয়া হয়।
এছাড়া বিভাগের আইটি সেন্টারের বিভিন্ন ব্যাচের সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্তদেরও সনদপত্র দেওয়া হয় অনুষ্ঠানে।
বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. সোনিয়া নিশাত আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- এম এ জি ওসমানী স্কলারশীপ ফান্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিরিন হোসেন ওসমানী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৫
এসএ/এমএ