ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মানবতাবিরোধী অপরাধ

বাগেরহাটে বন কর্মকর্তা আটক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৫
বাগেরহাটে বন কর্মকর্তা আটক এ কে এম ইউসুফ আলম

বাগেরহাট: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মো. ইউসুফ আলী ওরফে এ কে এম ইউসুফ আলম (৫৮) নামে এক বন কর্মকর্তাকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৮) সদস্যরা।

বুধবার (৯ ডিসেম্বর) গভীর রাতে র‌্যাবের একটি দল সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের দুবলা এলাকা থেকে তাকে আটক  করে।



মো. ইউসুফ আলী ওরফে এ কে এম ইউসুফ আলম জামালপুরের চাঁনপুর হরিণাকান্দা গ্রামের প্রয়াত আব্দুল খালেক ওরফে খালেক মাস্টারের ছেলে। তিনি শরণখোলা রেঞ্জের শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

তাকে বৃহস্পতিবার বাগেরহাট আদালতে পাঠানো হবে।

বাগেরহাটের শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম মিঞা বৃহস্পতিবার সকালে বাংলানিউজকে বলেন, বন কর্মকর্তা এ কে এম ইউসুফ আলমের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফেতারি পরোয়ানা জারি করেন। এ খবর জানতে পেরে তিনি শরণখোলা ছেড়ে দুবলার ফরেস্ট ক্যাম্পে গিয়ে আত্মগোপণ করেন। পরে তাকে গ্রেফতার করতে র‌্যাবের সহযোগিতা চাওয়া হয়।  

র‌্যাব-৮ এর উপ অধিনায়ক মেজর আদনান কবির জানান, শরণখোলা থানা পুলিশ এ কে এম ইউসুফ আলমকে গ্রেফতারে সহযোগিতা চাইলে র‌্যাবের দুবলা ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

সহকারী পুলিশ সুপার ও এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন জানান, মুক্তিযুদ্ধের সময় এ কে এম ইউসুফ আলম ছাত্র ছিলেন। সে সময় তিনি আল বদর বাহিনীতে যোগ দিয়ে ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছার সুবর্ণখিলা এলাকায় গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ ও নির্যাতন চালান।

প্রাথমিক তদন্তে এসব ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা মিললে ২০১৫ সালের ১ এপ্রিল জামালপুর ও ময়মনসিংহ জেলার আটজন মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা করা হয়। তিনি ওই মামলার তিন নম্বর আসামি। এ আটজনকে গ্রেফতার করতে ২২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আবেদন করা হয়। ট্রাইব্যুনাল শুনানি শেষে ৯ ডিসেম্বর তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা অনুযায়ী পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এ নিয়ে এ মামলার মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হলো।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সাইদুল ইসলাম জানান, এ কে এম ইউসুফ আলম ১৯৭৯ সালের ৯ আগস্ট বন বিভাগে ফরেস্টার পদে যোগদান করেন। তিনি ২০১৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জে ডেপুটি রেঞ্জার হিসেবে যোগদান করেন। কিছুদিন আগে তিনি পদোন্নতি পেয়ে শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে দাবি করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৫
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।