ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ বছর বহাল রাখার দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৫
মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ বছর বহাল রাখার দাবি

ঢাকা: প্রস্তাবিত বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স শর্তহীনভাবে ১৮ বছর বহাল রাখার দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।

বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালন উপলক্ষে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।



মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি নাহার আহমেদ। বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাসুদা রেহানা বেগম, ঢাকা মহানগর কমিটির লিগ্যাল এইড সম্পাদক শামীমা আফরোজ আইরিন ও কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদের পরিচালক অ্যাড. মাকছুদা আখতার।

সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, মানবাধিকার নারীর অধিকার। কিন্তু প্রতিনিয়তই বাংলাদেশে নারীর মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। পারিবারিক মূল্যবোধ, নারীর প্রতি সহিংসতার সংস্কৃতি, বিদ্যমান বৈষম্যমূলক আইন, নিপীড়কের পক্ষে প্রভাবশালী মহলের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে নারী নির্যাতনের যে সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের নারী আন্দোলন তার বিরুদ্ধে একটি মানবিক সংস্কৃতি নির্মাণ করতে চায়।

কন্যাশিশুর বিয়ের বয়স ১৬ বছর করার যে বিশেষ আইন করা হচ্ছে- এ বিষয়ে আমরা শঙ্কিত, ক্ষুব্ধ। ইতোমধ্যে অনেক ইতিবাচক আইন প্রণয়ন ও সংস্কার করা হয়েছে, কিন্তু এ আইনটি করা হলে নারীর প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধি পাবে। পারিবারিক, অর্থনৈতিক, মানসিক, স্বাস্থ্যগতভাবে কন্যা শিশুরা ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। ফলে সামগ্রিকভাবে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে।

তিনি বলেন, যখন সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে ইতিবাচক অনেক সাফল্য অর্জিত হচ্ছে, যখন বাল্যবিবাহ হ্রাস পাচ্ছে তখন সরকার কাদের স্বার্থে এ রকম একটি বিধান করতে যাচ্ছে তা নিয়ে আমরা সন্দিহান ও দ্বিধান্বিত। যদি ২০২১ সালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হয় তাহলে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সনদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এই আইন বাতিল করে কন্যাশিশুর বিয়ের বয়স ১৮ বহাল রাখার দাবি জানান তিনি।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সহ-সাধারণ সম্পাদক ডা. ফওজিয়া মোসলেম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রাখী দাশ পুরকায়স্থ, সীমা মোসলেম, সংগঠন সম্পাদক উম্মে সালমা বেগম, আন্দোলন সম্পাদক কাজী সুফিয়া আখতার, প্রকাশনা সারাবান তহুরা, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক বুলা ওসমান, স্বাস্থ্য নুরুল ওয়ারা বেগম, ঢাকা মহানগর শাখার নেত্রী মাহতাবুননেসা, মঞ্জু ধর প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৫
এসইউজে/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।