রাজশাহী: রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানার কাটাখালি এলাকায় রুকসানা আক্তার (১৮) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে,
বিচারের দাবিতে মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজশাহী-নাটোর মহাসড়কে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ চলাকালে এ দাবি জানানো হয়।
নিহত গৃহবধূর স্বজনদের দাবি, স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা রুকসানাকে হত্যা করেছেন। এ ঘটনার পর থেকে রুকসানার স্বামী রাব্বিল হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যরা গা ঢাকা দিয়েছেন।
রুকসানার বাবা মহানগরীর মতিহার থানার মাসকাটা দীঘি এলাকার শওকত আলী জানান, দুই বছর আগে পুঠিয়া উপজেলার জামিরার আগলা গ্রামের বাদল হোসেনের ছেলে রাব্বিলের সঙ্গে রুকসানার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী ও পরিবারের লোকজন মিলে রুকসানাকে নির্যাতন করতেন।
‘এর আগেও তাকে নির্যাতন করে মুখে বিষ ঢেলে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছেন শ্বশুর বাড়ির লোকজন। ওইসময় রুকসানা প্রাণে বেঁচে যান। এঘটনায় রুকসানা রাগ করে আমাদের বাড়ি চলে আসে। পরে রাব্বিলসহ তার পরিবারের লোকজন আমাদের সঙ্গে মীমাংসা করে তাকে নিয়ে যান।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে ওই এলাকার হৃদয় নামের এক আত্মীয় রুকসানার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। এসে দেখেন বাড়িতে কেউ নেই। পাশাপাশি রুকসানা যে ঘরে থাকতেন সেই ঘরের দরজায় সামনে থেকে তালামারা। হৃদয় তখন আশেপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসা করলে তারাও খোঁজাখুঁজি করে দেখেন, ঘরের পিছনের দরজা খোলা ও রুকসানার মরদেহ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝোলানো। এরপর হৃদয়ই রুকসানার বাবার বাড়িতে খবর দেন।
এদিকে, খবর পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যার পুঠিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে যায়।
শনিবার বিকেলে ময়নাতদন্তে শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হলে পরিবারের লোকজন ও স্বজনরা মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ করেন।
এসময় ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানান তারা। পরে পুঠিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থালে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
রাজশাহীর পুঠিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহরিয়ার আলম জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৫
এসএস/ওএইচ/এসএস