ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিদ্রোহীকে দলের হুমকির অভিযোগ আমলে নেবে ইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৫
বিদ্রোহীকে দলের হুমকির অভিযোগ আমলে নেবে ইসি

ঢাকা: আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে দলগুলোর একাধিক প্রার্থী থাকার কোনো প্রশ্নই আসে না। তাই কোনো দল স্বতন্ত্র কোনো প্রার্থীকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারে চাপ প্রয়োগ করলে বা হুমকি দিলে তা আমলে নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এক্ষেত্রে প্রার্থীরা লিখিত অভিযোগ করলে সহায়তাও দেওয়া হবে।
 
রোববার (১৩ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাবেদ আলী ইসি সচিবালয়ের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
 
তিনি বলেন, নির্বাচন পরিচালনা বিধি অনুসারে কোনো দল একটির বেশি প্রার্থী দিতে পারে না। তাই একাধিক প্রার্থী দাবির সুযোগ নেই। স্বতন্ত্র প্রার্থী যতজন চান, যদি যোগ্যতা থাকে, তবে ইচ্ছুকরা স্বতন্ত্র থেকে প্রার্থী হতে পারবেন।
 
কেউ বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী হলে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলেও কোনো কোনো দলের সম্পাদক পর্যায়ে নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের হুমকি দিচ্ছেন।

এ বিষয়ে ইসির পদক্ষেপ জানতে চাইলে জাবেদ আলী বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী যদি আমাদের কাছে আবেদন রাখে এ বিষয়ে অবশ্যই আমরা তার প্রচারণা বা অবস্থানের সুবিধার্থে একজন প্রার্থী হিসেবে যতটুকু সুবিধা আশা করেন, আইনগতভাবে আমরা দিতে সমর্থ হবো। দিতে চেষ্টা করবো। এজন্য স্বতন্ত্র প্রার্থীকে লিখিত আবেদন করতে হবে।
 
দলের হুমকি আচরণবিধির লঙ্ঘন কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আইন কি বলে সেটাই দেখবো। আমাদের কাছে দলীয় এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী একই সমান। সবাই একই রকম সহায়তা পাবেন। কোনো প্রার্থী যদি নির্বাচন সংক্রান্ত অসুবিধার কথা বলেন, আমাদের কাছ থেকে সহায়তা পাবেন। প্রার্থী তার অসুবিধার বিষয় আমাদের নজরে নিয়ে আসেন, আমরা অবশ্যই প্রার্থীর অসুবিধা দূরীকরণে যথাযথ ভূমিকা রাখবো।
 
বিএনপির আস্থা ফেরাতে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে- এ প্রশ্নের জবাবে জাবেদ আলী বলেন, সবার জন্য সমান তালে একই টিট্রমেন্ট দেওয়া হবে।
 
এমপিদের ইসি নিজেই শোকজ করছে আর মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে-এ প্রশ্নের জবাবে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, একটা হচ্ছে প্রশাসনিক ব্যবস্থা, অন্যটি বিচারিক বা দণ্ডমূলক ব্যবস্থা। আইনে দণ্ড দেওয়ার ক্ষমতা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দেওয়া হয়েছে। আচরণ বিধি লঙ্ঘন হলে রিটার্নিং কর্মকর্তা বা নির্বাহী এবং বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটরা অন দ্য স্পট ব্যবস্থা নেবেন। রিটার্নিং কর্মকর্তারাও দায়িত্ব পালনে অবহেলা করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 
তিনি এ সময় সবার সহযোগিতা পেলে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার আশা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে কোনো দল থেকে কোনো আসনে একাধিক প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়ে অভিযোগ আসেনি বলে জানান জাবেদ আলী।
 
আগামী ৩০ ডিসেম্বর দেশের ২৩৪ পৌরসভায় একযোগে ভোটগ্রহণ করবে ইসি। নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় এবং কাউন্সিলর পদে নির্দলীয়ভাবে ভোটগ্রহণ করা হবে। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে সাড়ে তিনশ’র বেশি। যার মধ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অনেক বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৫
ইইউডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।