ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মাদক ও ভাঙারি ব্যবসায়িরা শিশুদের ব্যবহার করছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৫
মাদক ও ভাঙারি ব্যবসায়িরা শিশুদের ব্যবহার করছে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, দেশের কোনো শিশু যেন রাস্তার মানবেতর জীবন-যাপন করতে না হয় সেজন্য প্রকল্প গ্রহণ করতে যাচ্ছে সরকার। কিছু সংখ্যক মাদক ব্যবসায়ী ও ভাঙারি ব্যবসায়ী পথশিশুদের জিম্মি করে তাদের স্বার্থে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।



তিনি বলেন, পথশিশু বলে আর কিছু থাকবে না। সরকার এ লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে সমাজের সব স্তরের মানুষের সহযোগিতা চান প্রতিমন্ত্রী।

রোববার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাওরান বাজারে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৬ নং ওয়ার্ড কাওরান বাজার, ফার্মগেট, তেজকুনীপাড়া এলাকার পথশিশুদের নিয়ে কাজ করে এমন কিছু সংগঠন ও উত্তর সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে বিশেষ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকভাবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৬ নং ওয়ার্ড ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কমলাপুর এলাকাকে পথশিশু মুক্ত করা হবে। তারপর পর্যায়ক্রমে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সব ওয়ার্ডের পথশিশুকে পুনর্বাসনের জন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ  করতে যাচ্ছে সরকার।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রয়োজনে নদী ভাঙন এলাকার মানুষের জন্য বিকল্প আবাসন ব্যবস্থা আগে থেকে নির্ধারণ করার চিন্তা করছে সরকার।

তিনি বলেন, নদী ভাঙনের ফলে রাজধানীতে পথশিশুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিছুসংখ্যক মাদক ব্যবসায়ী ও ভাঙারি ব্যবসায়ী পথ শিশুদের জিম্মি করে তাদের স্বার্থে পথশিশুদের ব্যবহার করছে। এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগমের সভাপতিত্বে সভায় আশার আলো সোসাইটি, অদম্য বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন (মজার ইশকুল), অপরাজেয় বাংলাদেশ, প্রচেষ্টা ফাউন্ডেশন’র প্রচেষ্টা স্কুল, ইনসিডিন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশন, দুস্থ সহায়তা কেন্দ্র, দ্য ইউথ ফাউন্ডেশনসহ অনেক সামাজিক সংগঠন অংশগ্রহণ করে।

আলোচনা সভার শুরুতে পথশিশুদের নিয়ে এক সমীক্ষার উপর প্রতিবেদন পেশ করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নারী নির্যাতন প্রতিরোধে মাল্টি সেক্টরাল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. আবুল হোসেন।

সমীক্ষায় বলা হয়, দারিদ্র্য, আশ্রয়ের অভাব, ভিন্ন পরিবার, পিতা-মাতার মৃত্যু, আবাসন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ভূমিহীনতা ইত্যাদি কারণে পথশিশুর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৫
এমএন/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।