ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পৌর নির্বাচন

সকল ধরনের মিছিল-শোডাউন নিষিদ্ধ

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৫
সকল ধরনের মিছিল-শোডাউন নিষিদ্ধ

ঢাকা: আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনের প্রতীক নিয়ে প্রচারণা শুরু সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) থেকেই। তবে প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি কোনো ধরনের মিছিল বা মশাল মিছিল বা যানবাহনে মিছিল সহকারে প্রচারণা চালাতে পারবেন না।



এছাড়াও প্রচার-প্রচারণায় অন্তত দশ ধরনের বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
 
ইতোমধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে ইসি’র উপ-সচিব মো. সামসুল আলম বিধি-নিষেধ ও নিষেধাজ্ঞার বিষয়গুলো অবহিত করেছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা বিভিন্ন মাধ্যমে তা প্রচারসহ নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।
 
মাইক্রোফোনের ব্যবহার
প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি একটি ওয়ার্ডে পথসভার জন্য একটি এবং নির্বাচনী প্রচারণার জন্য একটি মোট দুইটি মাইক্রোফোন বা শব্দের মাত্রা বর্ধনকারী যন্ত্র ব্যবহার করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে প্রচারণা দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
 
পোস্টার, হ্যান্ডবিল বা লিফলেট
প্রার্থীর পোস্টার হতে হবে সাদা-কালো। পোস্টারের আয়তন হবে দৈর্ঘ্যে ৬০ সেমি এবং প্রস্থে ৪৫ সেমি। এতে ছাপানো ছবি পোট্রেট হতে হবে এবং কোনো অনুষ্ঠান বা মিছিলে নেতৃত্ব দান, প্রার্থনারত অবস্থা ইত্যাদি ভঙ্গিমার ছবি ছাপানো যাবে না। নির্বাচনী প্রতীকের আকার কোনোভাবেই তিন মিটারের বেশি হবে না।

প্রার্থী বা অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা ও তারিখবিহীন কোনো পোস্টার লাগানো যাবে না। পোস্টার কেবল নির্বাচনী এলাকায় ঝোলানো যাবে। কোনো স্থাপনার দেয়াল বা যানবাহনে পোস্টার বা হ্যান্ডবিল বা লিফলেট লাগানো যাবে না।
 
দল প্রধানের ছবি
প্রার্থী তার পোস্টারে তার ছবি ছাড়া কেবল দলীয় প্রধানের ছবি ছাপাতে পারবেন। দলীয় প্রধানের ছবি লিফলেটেও ছাপানো যাবে।
 
মিছিল বা শোডাউন
নির্বাচনে যেকোনো ধরনের মিছিল বা শোডাউন নিষিদ্ধ। প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কেউ যেকোনো প্রকারের মিছিল বা মশাল মিছিল বা শোডাউন করতে পারবেন না। ইসি অনুমোদিত কোনো ব্যক্তি ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি ভোটকেন্দ্রের চৌহদ্দির মধ্যে মোটরসাইকেল বা অন্য কোনো যান চালাতে পারবেন না।
 
সভা-সমিতির বাধা-নিষেধ
পথসভা বা ঘরোয়া সভা ছাড়া কোনো সভা করতে পারবেন না। তবে ঘরোয়া সভা করতে হলে অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে পুলিশকে তা অবহিত করতে হবে। আর পথসভা কোনো স্থানে এমনভাবে করা যাবে না, যাতে জনসাধারণের চলাচলে অসুবিধা হয়। এছাড়া অন্য প্রার্থী কোনো পথসভা বা ঘরোয়া সভায় বাধা দিতে পারবেন না।
 
বিলবোর্ড
নির্বাচনে কোনো ধরনের স্থায়ী বা অস্থায়ী বিলবোর্ড ব্যবহার করা যাবে না। অথবা অন্য কোনো কাঠামো বা বৃক্ষ ইত্যাদিতে স্থাপন বা ব্যবহার করা যাবে না।
 
গেট-তোরণ বা ঘের নির্মাণ
নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো ধরনের গেট-তোরণ বা ঘের নির্মাণ কিংবা জনগণের চলাচলের অসুবিধা হয় এমন কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। প্রচারণার জন্য ৩৬ বর্গমিটারের বেশি স্থান নিয়ে প্যান্ডেল নির্মাণ করা যাবে না। নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে বিদ্যুতের সাহায্যে কোনো ধরনের আলোকসজ্জা করতে পারবেন না প্রার্থীরা। কোনো সড়ক কিংবা জনগণের চলাচল ও সাধারণ ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত স্থানে নির্বাচনী ক্যাম্প বা অফিস করা যাবে না।
 
উপাসনালয়ে প্রচারণা নিষিদ্ধ
নির্বাচনী প্রচারণায় প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কেউ মসজিদ, মন্দির বা উপাসনালয়ে প্রচারণা চালাতে পারবেন না।

মোটরসাইকেলে নিষেধাজ্ঞা
নির্বাচনে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ২৭ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে ৩১ ডিসেম্বর সকাল ৬টা পর‌্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে। এছাড়া বেবিট্যাক্সি, ট্যাক্সি ক্যাব, মাইক্রোবাস, জিপ, পিক-আপ, কার, বাস, ট্রাক বা টেম্পো চলাচল ২৯ ডিসেম্বর মধ্যরাত ১২টা থেকে ৩০ ডিসেম্বর মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
 
তবে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি সাপেক্ষে প্রার্থী বা প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট, সাংবাদিক, পর্যবেক্ষকরা এসব যানবাহন ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া জরুরি পণ্যবাহী বাহন বা অ্যাম্বুলেন্সও এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।

এছাড়া নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পরের ১৫ দিন পর্যন্ত ইসির অনুমতি ছাড়া কোনো ব্যক্তি নির্বাচন সংক্রান্ত কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অন্যত্র বদলি করা যাবে না।
 
আবার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে আগে সভাপতি বা সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে থাকলে নির্বাচনপূর্ব সময়ে ওই প্রতিষ্ঠানের কোনো সভায় সভাপতিত্ব বা অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। অথবা ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো কাজে জড়িত হবেন না।
 
আগামী ৩০ ডিসেম্বর দেশের ২৩৪ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে মেয়র পদে দলীয় এবং কাউন্সিলর পদে নির্দলীয়ভাবে ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন। ইতোমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সাত মেয়র প্রার্থী। আর মেয়র পদে সব দলের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন ৯২১ জন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ২৩৩ জন, বিএনপির ২১৯ জন ও জাতীয় পার্টির ৭৩ জন প্রার্থী রয়েছেন। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন ১৬২ জন বৈধ প্রার্থী।
 
** প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থী ৯২১, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ৭

বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৫
ইইউডি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।