রায়েরবাজার বধ্যভূমি থেকে: একাত্তরে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে বধ্যভূমিতে যেভাবে ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছিল, অভিনয়ের মাধ্যমে সেই প্রতীকী দৃশ্য রচনা করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানিয়েছে খেলাঘরের সদস্যরা।
সেখানে ইটের স্তুপ দিয়ে তৈরি করা প্রতীকী বধ্যভূমিতে রক্তমাখা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মরদেহ সেজে শুয়েছিল শিশুরা।
রাজধানীর রায়েরবাজার বধ্যভূমির দক্ষিণ প্রাঙ্গনে মূল বেদির পাশে একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে চন্দ্রালোক ও সূর্যালোক খেলাঘর আসরের শিশুরা এ প্রতীকী বধ্যভূমি রচনা করে। স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে আসা হাজারো মানুষকে সেখানেও শ্রদ্ধা জানাতে দেখা যায়।
সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ব্যতিক্রমধর্মী এ মূল আয়োজনে ছিল কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর।
নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধা জানাতে এসে শিশুদের প্রতীকী বধ্যভূমি পরিদর্শন করেন। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানানো শেষে ওই প্রতীকী বধ্যভূমি পরিদর্শন করে।
আয়োজনের বিষয়ে কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য প্রণয় সাহা বাংলানিউজকে বলেন, ৩৫ জন শিশুর সমন্বয়ে এ প্রতীকী বধ্যভূমি মঞ্চ সাজানো হয়েছে। ১৯৯০ সাল থেকে প্রতি বছর আমাদের এ আয়োজন চলে আসছে। খেলাঘরের মূল স্লোগান হলো- 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন প্রজন্ম গড়ে তোল। '
তিনি আরও বলেন, এর মাধ্যমে আমরা চাই, দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের কর্ম, ত্যাগ ও মেধা নতুন প্রজন্মের মধ্যে সঞ্চারিত হোক।
এ সময় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য আব্দুল মতিন ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক আবুল ফারাহ পলাশ উপস্থিত ছিলেন। আয়োজনের পরিকল্পনায় ছিলেন খেলাঘরের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য গোবিন্দ বাগচী।
স্থানীয় ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার তারেকুজ্জামান রাজিব প্রতীকী বধ্যভূমিতে অংশ নেওয়া শিশুদের পানি পান করিয়ে আয়োজনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
** রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা
বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৫
এনএইচএফ/ওএইচ/এএসআর