খুলনা: ‘মুক্তিযুদ্ধ আমাদের আবেগ, চেতনা আর অস্তিত্বের প্রকাশ। নয়মাসের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি আমাদের স্বাধীনতা।
আর এ কারণেই ফ্যাশন হাউজে পোশাক কিনতে এসেছেন বলে জানান খুলনার আযম খান কমার্স কলেজের ছাত্র শাহাদাত হোসেন দীপু।
নগরীর খানজাহান আলী রোডের ফ্যাশন হাউজ গ্রাম বাংলায় পোশাক কিনতে আসা দীপু সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) বাংলানিউজকে জানান, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করতে বিজয় দিবসে তিনি যে পোশাক পরবেন, তাতে থাকবে লাল-সবুজের ছাপ।
গৃহসুখন ফ্যাশন হাউজে পোশাক কিনতে আসা বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা রাফসান বাংলানিউজকে জানান, বিজয় দিবস কিংবা স্বাধীনতা দিবসের রঙ বলতে লাল-সবুজকেই বোঝায়। আর তাই এ দিবসের ফ্যাশনে প্রাধান্য পায় লাল আর সবুজ- এ দু’টি রঙ। পোশাক অন্য রঙের হলেও লাল সবুজের ছোঁয়া থাকতেই হবে। সে কারণে তিনি প্রতি বছরই এসব দিবসকেন্দ্রিক লাল-সবুজের মিশ্রণে পোশাক কেনেন।
একই ফ্যাশন হাউজে শাড়ি কিনতে আসা মাধবী রানী বাংলানিউজকে বলেন, ‘মহান বিজয় দিবসে লাল-সবুজে এখন নিজেকে সাজাতে চায় সবাই। তাই ফ্যাশন হাউজে বিজয়ের ছাপে আকা শাড়ি কিনতে এসেছি’।
সরেজমিনে নগরীর আড়ং, গৃহসুখন, গ্রাম বাংলা, উইশ, সুই সুতা, শখ, নিউ ফ্যাশনসহ অভিজাত ফ্যাশান হাউজগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, ফ্যাশন হাউজগুলো লাল সবুজের নানা রঙের ও ঢঙের পোশাকে সজ্জিত। শাড়ি, পাঞ্জাবি, শার্ট, কুর্তা, ফতুয়া, স্কার্ট কিংবা শিশুদের জামার ডিজাইনেও আনা হয়েছে লাল সবুজ পতাকা, স্মৃতিসৌধ, মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের নানা মোটিভ। আর শেষ সময়ে এসব পোশাক কিনতে ভিড়ও রয়েছে ফ্যাশান হাউজগুলোতে।
শখ ফ্যাশন হাউজের মালিক ডালিয়া ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিটি উৎসবকেই প্রাধান্য দিয়ে ফ্যাশন হাউজে নানা ডিজাইনের পোশাক রাখা হয়। এবারের বিজয় দিবসও এর ব্যতিক্রম নয়।
তিনি জানান, শেষ সময়ে এখন বেচা-কেনা ভালো হচ্ছে।
গৃহসুখন ফ্যাশন হাউজের স্বত্ত্বাধিকারী সালমা রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বিজয় দিবসের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন কালেকশনের পোশাক রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে টি-শার্ট, কামিজ, থ্রি-পিস, পাঞ্জাবি, শাড়ির বিশাল আয়োজন। শিশু-কিশোরদের পোশাকের ডিজাইনেও বড়দের পোশাকের মতো গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। শিশুদের পোশাকের ভেতর থাকছে থ্রি-পিস, ফ্রক, টি-শার্ট, পাঞ্জাবি। আর এসব পোশাকেও রয়েছে লাল সবুজের ছাপ।
সালমা জানান, ফ্যাশন সচেতনরা নকশায় বৈচিত্র্য সমৃদ্ধ এসব ডিজাইনের পোশাক কিনতে ভিড় করছেন। দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, থ্রি-পিচ ৮০০ টাকা থেকে ২৬০০ টাকা, শাড়ি ১০০০ টাকা থেকে ২২০০ টাকা, পাঞ্জাবি ৮০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা, বাচ্চাদের ড্রেস (ফ্রক, থ্রি-পিচ, ফতুয়া) ২০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৫
এমআরএম/এএসআর