ঢাকা: বায়ান্নর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে যে ভাষাভিত্তিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বুদ্ধিজীবীরা দেখেছিলেন সে স্বপ্ন স্বাধীন বাংলাদেশেও অধরা রয়ে গেছে বলে মত দিয়েছেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
তিনি বলেন, উল্টো সমাজে বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে, শিক্ষা বিভাজিত হয়েছে।
সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মরণে একক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, একাত্তরে বাংলার বুদ্ধিজীবীরা ব্যক্তিগত আক্রোশে নয় বরং সমষ্টিগত স্বপ্নের কারণে পাকিস্তানি হানাদার এবং তাদের এ দেশীয় দোসরদের হাতে প্রাণ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বুদ্ধিজীবীদের কাজ একই সঙ্গে বুদ্ধিবৃত্তিক এবং সাংস্কৃতিক। তাদের যথাযথ ভূমিকাই পারে আমাদের অসমাপ্ত মুক্তি সংগ্রামকে বেগবান করতে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই আমরা তাদের প্রতি যথার্থ শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারি।
অনুষ্ঠানে আবু হেনা মোস্তফা কামাল রচিত মুনীর চৌধুরীর প্রতি খোলা চিঠি থেকে পাঠ করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার। আবৃত্তি পরিবেশন করেন কাজী মদিনা।
অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আহমদ কবির, কথা সাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক, লেখক শান্তনু কায়সার প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ড. তানভির আহমেদ সিডনী।
এর আগে, সকাল ৭টা ১০ মিনিটে একাডেমির পক্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার বুদ্ধিজীবী সমাধি, মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এবং রায়েরবাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৫
আইএ